নব্যেন্দু হাজরা: আমফানের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। তার আগেই বুধবার সন্ধেয় চলে ঝড়বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকালেও আবহাওয়ার উন্নতি হয়নি। দফায় দফায় চলছে ঝড়বৃষ্টি। আগামী কয়েকঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শুধু বৃহস্পতিবারই নয় আগামী চার-পাঁচ দিন রাজ্যজুড়ে চলতে পারে ঝড়বৃষ্টি।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা বিহার, বাংলা ও অসমের উপর দিয়ে গিয়েছে। তার ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। সে কারণেই আগামী চার-পাঁচ দিন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি চলবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে ফের ঝড়ের সম্ভাবনা। ৫০-৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে বইতে পারে ঝোড়ো হওয়া। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃহস্পতিবার ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী কয়েকদিন কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ঝড়বৃষ্টির ফলে নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ৯৬ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বনগাঁ ও বসিরহাটে দুই ব্যক্তির মৃত্যু, আহত আরও ৪]
উল্লেখ্য, ২০ মে ১৩৩ কিলোমিটার বেগে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে বাংলায়। তার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে একাধিক জেলার। কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তার রেশ কাটতে না কাটতে বুধবার আবারও ৮৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। তার ফলে যাদবপুর, শোভাবাজারে ভেঙেছে গাছ। উত্তর ২৪ পরগনায় দু’জন, আরামবাগে একজন এবং দুর্গাপুরে একজনের প্রাণহানিও হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই চায়ের প্যাকেজিংয়ের গুদাম, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল গোটা এলাকা]
The post ৪-৫ দিন রাজ্যে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি, আমফানের ক্ষতের মাঝেই আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস appeared first on Sangbad Pratidin.