সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় টিভি-শো 'ব্রেকিং ব্যাড'। শুধু চরিত্রগুলি ভিন্ন। এখানে ওয়াল্টার হোয়াইট বা হাইজেনবার্গের ভূমিকা পালন করছিলেন মুম্বইয়ের এক কেমিস্ট। কাঁচামাল জোগাড়ে স্কিনি পেটের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিহাড় জেলের এক কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে কারবার চালানোর পর অবশেষে বামাল সমেত পুলিশের জালে অভিযুক্তরা। উদ্ধার হয়েছে ৯৫ কেজি নিষিদ্ধ মাদক। পুলিশের দাবি, এই মাদক কারবারের সঙ্গে মেক্সিকোর সরাসরি যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২৫ অক্টোবর গ্রেটার নয়ডায় তল্লাশি অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ ও এনসিবি। পুলিশের কাছে খবর আসে মেক্সিকোর এক মাদক পাচার চক্র এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। তল্লাশি অভিযানে ল্যাবে তৈরি ৯৫ কেজি মেথামফেটামিন নামক মাদক উদ্ধার হয়। যা ক্রিস্টাল ও লিকুইড দুই আলাদা রকম ফরম্যাটে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের দাবি মুম্বইয়ের এক কেমিস্ট তৈরি করত এই মাদক। এবং এর কাঁচামাল জোগাড় করে আনত তিহাড় জেলের এক কর্মী। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও পাচার করা হত এই অবৈধ মাদক। মাদকের মান কেমন তা পরীক্ষা করতেন দিল্লির এক ব্যক্তি। সব গুণমানের পরীক্ষায় পাশ করার পর তা বিদেশে পাচার করত অভিযুক্তরা। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ৪ জন। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারের পর গত ২৭ অক্টোবর অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানী দিল্লির দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৭ হাজার ৬০০ কোটি বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে পুলিশ। তালিকায় ছিল ৫৬২ কেজি কোকেন ও ৪০ কেজি হাইড্রোফোনিক মারিজুয়ানা। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় একাধিক অভিযুক্তকে। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, এই বিরাট মাদক পাচার চক্রের মাস্টারমান্ড বিরেন্দ্র বরোসা নামে এক ব্যক্তি। যিনি বিদেশের মাটিতে বসে ভারতে এই বিশাল মাদক চক্র চালান। সেই সূত্র ধরে গুজরাট, পাঞ্জাব-সহ দেশের নানা প্রান্তে উদ্ধার হয় মাদকের ভাণ্ডার। সম্প্রতি পাঞ্জাবে ৯৮ কেজি হেরোইন ৩২ কেজি ক্যাফিন অ্যানহাইড্রাস ও ১৭ কেজি ডেক্সট্রোমেথরফিন বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই মাদকের সঙ্গে পাক যোগ পাওয়া গিয়েছে। এবার নয়ডায় মিলল ৯৫ কেজি মেথামফেটামিন বা ক্রিস্টাল মেথ।