নব্যেন্দু হাজরা: ক্রমশ রুদ্ররূপ ধারণ করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে এবার আংশিক বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। টালিগঞ্জ অর্থাৎ মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনের পর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে যাত্রী পরিষেবা। ভোগান্তির শিকার আমজনতা। তবে টালিগঞ্জ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত। মনে করা হচ্ছে, টালিগঞ্জের পর থেকে মেট্রো লাইন আর ভূগর্ভস্থ নয়। উপর দিয়ে যাতায়াত করে মেট্রো। তাছাড়া আশেপাশে রয়েছে গাছপালা। সেক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণেই বন্ধ করা হচ্ছে বলেই অনুমান। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে পরিষেবা বন্ধের কারণ হিসাবে স্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এই রুটটিতে কখন আবার পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানানো হয়নি। টালিগঞ্জ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা অবশ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
[আরও পড়ুন: আয়লা-আমফান-ইয়াসের পর রেমাল, কেন মে মাসেই বাংলায় দুর্যোগের ঘনঘটা?]
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ল্যান্ডফলের সময় যত এগোচ্ছে রাজ্যজুড়ে খারাপ হচ্ছে আবহাওয়া। সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়া। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা তিন জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হবে। রবিবার প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। অন্যান্য জেলায় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। সেকথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। টানা ২১ ঘণ্টা বন্ধ বিমান পরিষেবা। ফেরি সার্ভিসও বন্ধ। এবার ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় ভোগান্তির শিকার মেট্রোযাত্রীরাও।