নব্যেন্দু হাজরা: চলতি সপ্তাহেই নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো লাইন পরিদর্শনে আসতে পারে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএস। মেট্রোসূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তাঁদের ওই লাইন পরিদর্শনের আবেদন জানানো হয়েছে। সঠিক তারিখ না জানালেও চলতি মাসেই তাঁরা আসতে পারেন বলে খবর। তাঁরা লাইন দেখে যাওয়ার পর মতামত জানাবেন। কিছু সমস্যা থাকলে তা শুধরে নিয়ে পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে। এদিকে জোকা-তারাতলা লাইনে যাত্রী নিয়ে ছোটার জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বেরের মধ্যে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে মেট্রো। তবে কবে থেকে তা চালু হবে সেই সিদ্ধান্ত দিল্লি নেবে বলে জানানো হয়েছে।
নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথে ট্রায়াল রান শেষ হয়েছে ভালভাবেই। দিন পনেরো আগে সিআরএসের জন্য আবেদন করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে পাকাপাকিভাবে এখনও জানানো হয়নি কবে আসছে সিআরএস। যদিও এই দুই লাইনই বড়দিনের আগে চালু করে দিতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। গড়িয়া-রুবি রুটের পাঁচটি স্টেশনের কাজ পুরোপুরি শেষ। ৫.৪ কিলোমিটার এই রুটে মোট পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলির নাম যথাক্রমে কবি সুভাষ, সত্যজিৎ রায়, কবি সুকান্ত, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে, এই অংশে পরিদর্শনের কাজ একদিনেই শেষ করে দেবে সিআরএস। তারপর ফিরে তাঁরা তাঁদের মতামত জানাবে।
[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ হাতের কালী প্রতিমা, অশনি সংকেত নাকি অলৌকিক কাণ্ড? উঠছে প্রশ্ন]
কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ মনে করছে ডিসেম্বরের মধ্যেই এই অরেঞ্জ লাইনেও যাত্রী পরিষেবার ছাড়পত্র মিলবে এবং মেট্রোর চাকা গড়াবে। এখন সবটাই নির্ভর করছে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের সিদ্ধান্তের উপর। বড়দিনের উপহার হিসাবে শহরবাসীকে এই দুই মেট্রো উপহার দিতে পারে রেল।
এখনও পর্যন্ত কোন দিন সিআরএস আসবে সেই তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, দু’তিনদিনের মধ্যেই তাঁরা এই লাইন দেখতে আসতে পারে। মেট্রো রেলের এক কর্তা বলেন, ‘‘নতুন বছরের আগেই দুই মেট্রো উপহার পাবেন শহরবাসী। তেমন চিন্তাভাবনা করেই এগোনো হচ্ছে।’’