সংবাদ প্রতিদিন জিজিটাল ডেস্ক: মেক্সিকোতে গ্যাসের পাইপ ফেটে বিস্ফোরণ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫। শনিবার রাতে লাহুয়েলিপান এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের সময় আশপাশে প্রায় ১০০ জন ছিল। প্রশাসনের অনুমান, ওই এলাকা থেকে জ্বালানি চুরি করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
[শিক্ষা হয়নি দুর্ঘটনায়, সিট বেল্ট ছাড়াই চালকের আসনে প্রিন্স ফিলিপ]
মেক্সিকোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জোরগে অ্যালকোসের এদিন জানান, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫। এখনও পর্যন্ত ৫৮ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের মেক্সিকো সিটির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিরাট বিস্ফোরণ হয়। গ্যাসের পাইপ থেকে আগুন বেরিয়ে আসে। পাইপের আশপাশে যারা ছিলেন, তাঁদের পোশাক জ্বলে যায়। কারও শরীর সঙ্গে সঙ্গে দগ্ধ হয়ে যায়। মৃতদের পরিবার পুরো ঘটনায় সরকারের কাছে বাকিদের খোঁজার আবেদন করেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আনার অনুরোধ করা হয়েছে। সৎকারের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে উদ্ধারের পদ্ধতি খুবই মন্থর। জ্বলে যাওয়ায় দেহ শনাক্ত করাও যাচ্ছে না। তার ফলে সমস্যা বাড়ছে। হিডালগো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫৪টি মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। ফরেনসিক পরীক্ষা করেই জানা সম্ভব।
[পাঁচিলে লগ্নি করলে ‘ড্রিমার’দের প্রবেশে ছাড়, শাটডাউন তুলতে দাওয়াই ট্রাম্পের]
এখনও মৃতদেহের খোঁজ চালাচ্ছে অধিকাংশ পরিবার। যদি কোনও হাসপাতালে খুঁজে পাওয়া যায় প্রিয়জনের দেহ। ময়সেস মেজিয়া নামে এক অধিবাসী বলেন, “আমরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমরা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বলেছি। আমরা আরও কিছুক্ষণ খুঁজতে চাই।” বলা হচ্ছে, পাইপলাইনে গ্যাসচুরি করার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যারা এই বিস্ফোরণের সময় ওখানে ছিলেন, সবাই জ্বালানি চুরি করতেই গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পরিবারের লোক সেই কথা মানতে চাইছে না। অ্যান্তেনিও গার্সিয়া নামে একজন এখনও নিখোঁজ। তাঁকে খুঁজতে বেরিয়েছেন ভাইপো লুপিলো। তিনি জানান, কাকাকে সবসময় দোকান থেকেই জ্বালানি-তেল কিনতে দেখেছি। কিন্তু কী ভেবে ওরকম জায়গায় নামল, সেটাই বুঝতে পারছি না।
The post মেক্সিকোর গ্যাসের পাইপে বিস্ফোরণ, লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা appeared first on Sangbad Pratidin.