সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি পর্নস্টার। কিন্তু তাই বলে কি বিয়ের পিঁড়িতে বসা মানা? মোটেই না। সানি লিওনে পথ দেখিয়েই দিয়েছেন। পর্নস্টার হলেও যে ভাল ছেলে বরাতে জোটে, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। এবার মিয়াও হাঁটলেন সেই পথে। বিয়ে না হলেও বাগদান হয়ে গেল তাঁর। দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড রবার্ট স্যান্ডবার্গের সঙ্গে আংটিবদল করলেন তিনি।
বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আগে একাধিকবার ছবি দিয়েছেন মিয়া খালিফা। কিন্তু তিনি যে বিয়ে পরতে চলেছেন, তার আভাস একবারও দেননি। মিয়া সুইডিশ বয়ফ্রেন্ড রবার্টের সঙ্গে কিন্তু পর্ন দুনিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। পেশায় শেফ তিনি। গত একবছর ধরে মিয়া আর রবার্টের মধ্যে সম্পর্ক রযেছে। কিন্তু মিয়াকে রবার্ট বিয়ের প্রস্তাব দেন দিনকয়েক আগে।
[ শ্রাবন্তীকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব বিজেপির! মুখ খুললেন অভিনেত্রী ]
১৪ মার্চ শিকাগোর একটি রেস্তোরাঁয় ডিনারে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে আর পাঁচটা রোম্যান্টিক প্রেমিকের মতোই মিয়াকে প্রোপোজ করেন রবার্ট। একটি পাত্রে হীরের আংটি চাপা দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ঢাকনা খুলেই আংটিটি চোখে পড়ে মিয়ার। আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। ‘হ্যাঁ’ বলতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি তিনি। তারপর থেকে অনেক ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন অ্যাডাল্ট স্টার মিয়া খলিফা। তার মধ্যে তাঁর অনামিকার হীরের আংটিও রয়েছে।
তবে মিয়ার বাগদানের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনুরাগীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, এবার কি আর অ্যাডাল্ট ছবিতে দেখা যাবে তাঁদের প্রিয় তারকাকে? ছবি না হলেও নিদেনপক্ষে তাঁর উষ্ণতা ছড়ানো ছবি পোস্টও করবেন না? বাগদানের পর কী হবে জানা নেই। তবে এখন পর্ন দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে ওয়েবক্যাম মডেল হিসাবে কাজ করছেন মিয়া খালিফা৷ আর ফ্লোরিডার মায়ামিতে বয়ফ্রেন্ড রবার্টের সঙ্গে সুখে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি৷ সূত্রের খবর, চলতি বছরেই নাকি গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন দু’জনে৷ ইনস্টাগ্রামে বেশ অ্যাকটিভ পর্নহাবের প্রাক্তন এই অ্যাডাল্ট স্টার৷ সেখানে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে টক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ ঘটান তিনি৷ কখনও ঝগড়া করেন, কখনও আবার ভালবাসার অতল সাগরে গা ভাসান দু’জনে৷ দেখেই বোঝা যায় মোটামুটি সুখেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
[ হেলমেট ছাড়া বাইকে সওয়ার, নেটদুনিয়ায় সমালোচিত সারা ]
The post হয়ে গেল বাগদান, সোশ্যাল মিডিয়ায় হবু বরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মিয়া খালিফা appeared first on Sangbad Pratidin.