কৃষ্ণকুমার দাস: এবার করোনা (Coronavirus) থাবা বসালো কলকাতার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারের শরীরে। মেয়রের অফিসের আরও দু’জনের শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক।
বুধবার জানা গিয়েছিল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান সাধনা বসু ও বিধায়ক তাপস রায়। সোমবারই মেয়র ফিরহাদ হাকিমের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন সাধনা ও তাপস। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন কলকাতার ১৪৪ জন কাউন্সিলর, একাধিক বিধায়ক, সাংসদ ও মন্ত্রীরা। ফলে ওই দুই তৃণমূল নেতা-নেত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর তীব্র আতঙ্ক তৈরি করেছিল। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সত্যি হল সেই আশঙ্কাই।
[আরও পড়ুন: ‘লাগাতার মুখ্যমন্ত্রীর নামে বিভ্রান্তিকর মেসেজ করেন রাজ্যপাল’, বিস্ফোরক অভিযোগ সৌগত রায়ের]
জানা গিয়েছে, বুধবার থেকেই জ্বর-সহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয় কলকাতার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারের। ঝুঁকি না নিয়ে পরীক্ষা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে রিপোর্ট আসতেই জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। এদিনই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মেয়রের অফিসের আরও এক কর্মী। ফলে মেয়রের অফিসে সংক্রমিতদের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। এই ঘটনা ক্রমশ বাড়াচ্ছে ভয়। এদিকে পুরসভার আরও ৫ কর্মীর শরীরে মারণ করোনা থাবা বসিয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, বাংলায় ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার রাজ্যের ১০৮৯ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। সেই সঙ্গে বেড়েছে রাজ্যের মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১০ জনের শরীরে মিলেছে নয়া এই স্ট্রেন। কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের (Contact Tracing) মাধ্যমে ১০৭ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট আসতেই আশঙ্কা বেড়েছে। আরও ৭০০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন কলকাতা, একজন হাওড়া ও আরেকজন উত্তর ২৪ পরগনার (দমদম) বাসিন্দা। তাঁদের বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। অপরজন ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছেন।