shono
Advertisement

মাঝ সমুদ্রে টানটান অভিযান, লাক্ষাদ্বীপের কাছে উদ্ধার দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের হেরোইন

৭ মে থেকে 'অপারেশন খোজবিন' নামের অভিযান শুরু করে ডিআরআই ও উপকূলরক্ষী বাহিনী।
Posted: 08:25 AM May 21, 2022Updated: 11:39 AM May 21, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাক্ষাদ্বীপের কাছে মাঝ সমুদ্রে টানটান অভিযান। উদ্ধার দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের হেরোইন। আটক দু’টি নৌকা ও যাত্রীরা। উপকূলরক্ষী বাহিনীর মদতে ‘ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’-এর এই অভিযান মাদক পাচারচক্রে জোর ধাক্কা দিয়েছে বলেই খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশে ব্যাপক হারে বাড়ছে আর্থিক বৈষম্য, প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের]

শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, সম্প্রতি পেশ হওয়া গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে ‘ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’ (DRI) জানতে পারে যে আরব সাগরে বিশাল পরিমাণের মাদক পাচার হতে চলেছে। বেশ কয়েক মাস ধরে চলা অনুসন্ধানের পর তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন যে মে মাসে তামিলনাড়ু উপকূল থেকে দু’টি নৌকা আরব সাগরে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় আসবে। সেখানে নৌকাগুলিতে বিশাল পরিমাণের হেরোইন বোঝাই করা হবে। সেইমতো পাচারচক্রের কোমর ভাঙতে ৭ মে থেকে ‘অপারেশন খোজবিন’ নামের অভিযান শুরু করে ডিআরআই ও উপকূলরক্ষী বাহিনী। গত বুধবার লাক্ষাদ্বীপের কাছে নৌকা দু’টি আটক করে প্রায় ২১৮ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে গুজরাট উপকূলে ৪০০ কোটি টাকার হেরোইন-সহ ধরা পড়ে একটি পাকিস্তানি নৌকা। নৌকাটিতে ছিল ৬ পাক নাগরিকও। তার আগে সেপ্টেম্বর মাসে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) মুন্দ্রা বন্দরে একটি জাহাজ থেকে দু’টি কন্টেনার বোঝাই প্রায় ৩ হাজার কিলোগ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের ওই অভিযানে মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয় দুই ব্যক্তিকে। পরে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, আফগানিস্তান থেকে ‘পাউডার’ আমদানির নাম করে মাদক চোরাচালানে যুক্ত ছিল তারা।

প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভারতে মাদক পাচারের চেষ্টা আরও বাড়িয়ে তুলেছে পাকিস্তান। বিশেষ করে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে এদেশে হেরোইন ঢোকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পাক পাচারকারীদের উদ্দেশ্য, বিপুল পরিমাণ মাদক এদেশের চালান করে যুব সমাজকে বিপথে চালনা করা। কিন্তু ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় এই ‘মাদক জিহাদে’ এখনও সাফল্য পায়নি পাকিস্তান।

[আরও পড়ুন: ‘ভাষা নিয়ে সংঘাত তৈরির চেষ্টা, নাগরিকদের সতর্ক করুন’, বিজেপি কর্মীদের বার্তা মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement