সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ভিন রাজ্য থেকে আসা বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকের ধাক্কায় একেবারে বেসামাল পুরুলিয়া। শুক্রবার একইদিনে এই জেলায় ৪৩ জন পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬১। এই ৪৩ জনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের এক বছরের সন্তানও রয়েছে। জয়পুরের সিধি-জামড়া এলাকার এক বছরের শিশুর সঙ্গে তার বাবা-মাও আক্রান্ত হন। ওই পরিবারটি গুরগাঁওয়ে কাজ করত। তাঁরা দিল্লি হয়ে গ্রামে ফেরেন। তবে তাঁরা সকলেই উপসর্গহীন।
আক্রান্ত হওয়া শ্রমিক ও তাঁদের পরিজনেরা গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি ফেরত। যে ৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে বলরামপুর, বরাবাজার, হুড়া, ঝালদা থানা এলাকার দু’জন করে আট। বোরো, মানবাজার, কোটশিলা, কাশীপুর, পাড়ার একজন করে পাঁচ, পুরুলিয়া মফস্বল ও কেন্দার তিন জন করে ছয়, জয়পুরের চার ও আড়শার ২০ জন। সকলেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আক্রান্তদের এলাকাগুলি বিধি মোতাবেক কনটেনমেন্ট ও বাফার জোন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই জেলায় সুস্থ হয়েছেন ন’জন।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা স্বাস্থ্যকর্মী, পাশে দাঁড়াল না কেউ, বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ প্রতিবেশীদের]
এই জেলা ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষজনের ট্রানজিট সেন্টার হওয়ায় পুরুলিয়ায় শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী পুরুলিয়ায় পা রাখেন। তার মধ্যে পুরুলিয়ার পরিযায়ীর সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। এদিন রাত পর্যন্ত এই জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ২০,৬৭২। তার মধ্যে অধিকাংশই পরিযায়ী। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬,৪৪৯। নাকা পয়েন্টে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে ৫৭,২০৪। নমুনা সংগ্রহ হয় ৮৮৮৬জনের।
শুক্রবার আড়শার কনটেনমেন্ট জোন এলাকায় পরিদর্শন করেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর। জেলাশাসক বলেন, “এই কন্টেনমেন্ট জোনে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেটা দেখতে এসেছিলাম। পানীয় জলের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এলাকার মানুষজনকে আরও সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ২১ দিন পর কেটেছে বন্দিদশা, আবাসিকদের করোনা মুক্তির সেলিব্রেশনে স্বাস্থ্যবিধির দফারফা]
The post বাদ গেল না বছরখানেকের শিশুও, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকের সন্তান appeared first on Sangbad Pratidin.