বাবুল হক,মালদহ: দিন পনেরোর মধ্যে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। তা আর হল না। বদলে মালদহের গ্রামে সাদা কাপড়ে মোড়া নিথর দেহ ফিরছে পরিযায়ী শ্রমিকের। পরিবারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যু হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে কী করে সংসার চলবে শোকের আবহেও এই চিন্তায় দিশেহারা শ্রমিকের স্ত্রী। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুমাসের চুক্তিতে স্থানীয় এক ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে মুম্বইয়ে কাজ করতে যান কালিয়াচক জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতর বাসিন্দা ২৭ বছরের এজাজুল মোমিন। রায়গড় জেলার পানভেল সিটির অদূরে খারগড় এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে বাঁশ বাঁধার কাজ করতেন তিনি। সোমবার সেই কাজ করার সময় ১২ তলা ছাদ থেকে পড়ে যান তিনি। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁরাই এজাজুলের বাড়িতে ফোন করে ঘটনাটি জানান।
[আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ফুলিয়ায়, খুন নাকি আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ]
স্ত্রী সুমা খাতুন ছাড়াও পরিবারে রয়েছে ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়ে। বড় মেয়েটি ছয় বছর, ছোট ছেলের বয়স মাত্র চার বছর। কীভাবে দুই সন্তানকে মানুষ করবেন তা নিয়ে কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না স্ত্রী। সুমা বলেন, "বেলা দুটোর সময় ওঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সব ঠিকঠাক ছিল। বিকেলে একজন ফোন করে জানায়, বারো তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। সন্ধ্যায় খবর পাই ও আর নেই! আমি এখন ছোট ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে কীভাবে বাঁচব?"
খারগড় এমজিএম হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের পর সহকর্মীদের হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের কফিনবন্দী দেহ পৌঁছয় কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে সড়কপথে মালদহের গ্রামে পাঠানো হয়েছে।