রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পেটের তাগিয়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলের যুবক। পুজোর আগে বাড়িতে এল দুঃসংবাদ। গুজরাটে মৃত্যু বাংলার যুবকের। কীভাবে দেহ ফিরবে বাড়িতে? দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে পরিবারকে। শোকস্তব্ধ এলাকা।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের মধ্যহিংলি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সুব্রত দাস। বয়স ৩৭ বছর। বাড়িতে স্ত্রী ও ৯ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে ওই যুবকের। মাসছয়েক আগে তিনি সুইপারের কাজে গুজরাটে যান। ভারুচের ফুলবাড়ি এলাকার একটি সংস্থায় ঠিকা চুক্তিতে কাজ করতেন তিনি। রবিবার সকালে সুব্রতর পরিবারের কাছে তাঁর মৃত্যু সংবাদ আসে। যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন তার ম্যানেজার ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দেন। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ সুব্রত অসুস্থ বোধ করায় ওই কোম্পানির এক চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। অন্যকর্মীদের সঙ্গে বাড়িতে ফিরবেন বলে কোম্পানির রেস্ট রুমে বিশ্রামও নেন ওই যুবক। পরবর্তীতে তিনি সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। এদিকে বাড়ি থেকে সুব্রতকে ফোনে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী উদ্বিগ্ন হয়ে এক সহকর্মীকে ফোন করেন। ওই সহকর্মী রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সুব্রতর কর্মস্থলে গিয়ে দেখেন তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
[আরও পড়ুন: ‘সবকো সন্মতি দে ভগবান’, নাম না করে ‘দিল্লি চলো’ নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা রাজ্যপালের]
জানা গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সকালে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। প্রথমে কোম্পানির তরফে দেহ মহিষাদলে পাঠানোর কথা বলা হয়। পরে তাঁরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বলেই অভিযোগ। একটা সময়ের পর পরিবারকে নিজেদের খরচে গুজরাট থেকে দেহ নিয়ে আসতে বলে। যার খরচ অনেক। পরিবার জানিয়েছে, এত টাকা খরচ করার সামর্থ্য তাঁদের নেই। ফলে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ বাড়ি ফেরানো নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। প্রশাসনের উদ্যোগে দেহ বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।