দীপঙ্কর মণ্ডল: মিশনারি কলেজগুলির ধাঁচে পথ চলা শুরু করতে চায় মিল্লি আল-আমিন কলেজ। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সংখ্যালঘু কলেজটি আর রাজ্য সরকারের ছাতার তলায় থাকবে না। রবিবার মিল্লি এডুকেশনাল অর্গানাইজেশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কলেজটি পুরোপুরি সেলফ ফিনান্সিং প্রতিষ্ঠান হবে।
এডুকেশনাল অর্গানাইজেশনের তরফে জনাব মুস্তাক সিদ্দিকী জানিয়েছেন, “গত তিন বছর ধরে অচলাবস্থা চলছে। রাজ্য সরকারের সাহায্য পাচ্ছি না। কলেজে ছাত্রী সংখ্যা কমতে কমতে এখন ১৪-১৫ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বসম্মতভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটি সেলফ ফিনান্সিং কলেজ হবে।” অন্য সদস্যরা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য সরকারের কাছে লিখিতভাবে এই প্রস্তাব যাবে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিশনারি কলেজ যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে মিল্লি আল-আমিন কলেজ। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে তাঁর কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: ব্যবহার্য সামগ্রী বিক্রি মিল্লি আল আমিনের বেতনহীন অধ্যাপকদের,মর্মাহত বৈশাখী]
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। মিলি এডুকেশনাল অর্গানাইজেশনের সিদ্ধান্ত শুনে বৈশাখী বলেন, “আগেও ৪ বছর এই কলেজ সেলফ ফিনান্সিং করা হয়েছিল। কিন্তু চালাতে পারেনি। ফের একই পথে হাঁটতে চাইছে। আমাকে যদি সরকার পুনর্বাসনের কথা বলে আমি ইস্তফা দেব।”
The post মিলছে না রাজ্যের কোনও সাহায্য, মিশনারি ধাঁচে বেসরকারি হতে চায় মিল্লি আল-আমিন কলেজ appeared first on Sangbad Pratidin.