অর্ণব আইচ: এক সময়ের পরিচারিকাই হয়ে ওঠেন বান্ধবী! কাজের ফাঁকে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতা! গ্রেপ্তারির প্রায় দুসপ্তাহ পর অবশেষে সেই ‘কোটিপতি’ কনস্টেবলের বান্ধবীর খোঁজ মিলল। বুলা কর্মকারের রয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা জানিয়েছেন মনোজিৎ বাগনানে পোস্টিংয়ের সময় তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়। ‘কোটিপতি’ কনস্টেবলের বাড়িতে পরিচারিকা কাজ করতেন তিনি। সেই সুবাদে দুজনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মহিলার দাবি, তাঁর অজান্তে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে বুলার নামে অ্যাকাউন্ট খোলেন মনোজিৎ। অ্যাকাউন্টে ২১ লক্ষ জমা করেন। পরবর্তীকালে অন্য একজনের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ান মনোজিৎ। বিয়ের পর সেই টাকা তুলে নেন ‘কোটিপতি’ কনস্টেবল। শাশুড়ির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন টাকা।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্তকারী অফিসারকে সরাল হাই কোর্ট]
তদন্তকারী সূত্রে খবর, মনোজিৎ বাগিশ ওই মহিলাকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। তবে মহিলার আরও দাবি, তাঁর নামে গাড়ি কিনলেও, তা কখনও ব্যবহার করেননি। বিয়ের পর সেই গাড়ির মালিকানা বদল হয়। স্ত্রীর নামে করে দেন মনোজিৎ। প্রাথমিক তদন্তে মনোজিতের ৭৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং ১০ লক্ষ টাকা জীবনবিমার খোঁজ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
এবার মনোজিতের আরও তিনটে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে ২০১২-২০১৫ সালের মধ্যে ২১ লক্ষ টাকা জমা হয়েছিল। কীভাবে মাত্র কয়েক বছরেই কোটিপতি হয়ে যান ওই কনস্টেবল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আপাতত আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মনোজিতের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরার আবেদনও মঞ্জুর করেছে আদালত।