সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবন আর সাধারণ নেই। এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। করোনা ভাইরাস (Corona Virus) শব্দ যেন প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের সঙ্গে বিচ্ছিরি আঠার মতো লেগে রয়েছে। ঘরবন্দি হয়েই বেঁচে থাকা। বিশেষ প্রয়োজন না হলে বাইরে বের হওয়া নিষেধ। কিছু করার নেই, নিজেকে বাঁচতে এবং অন্যকে বাঁচাতে গেলে এই নিয়ম মানতেই হবে। অশান্ত সময় বটে কিন্তু হাল ছাড়বেন না। “পৃথিবী আবার শান্ত হবে।” তখন নিজের পরিযায়ী মনটাকে আবার প্রশ্রয় দেবেন। বেরিয়ে পড়বেন অজানাকে খুঁজতে।
অনেকেরই মনে হতে পারে ভবিষ্যতের কথা এখন কী লাভ? আরে মশাই, ভাবলে তো কোনও ক্ষতি নেই। বরং মনটা ভাল হয়ে যাবে। পাহাড় যাঁদের টানে অথচ বেশি কোলাহল পছন্দ করেন না তাঁদেরই জন্যই উত্তরবঙ্গের কোলে রয়েছে মিম চা বাগান (Mim tea Garden)।
[আরও পড়ুন: ওয়ার্ক ফ্রম হোমে বিরক্ত? প্রকৃতির মাঝে বসে কাজের সুযোগ দিচ্ছে IRCTC]
সুকিয়াপোখরি এবং লেপচাজগতের মাঝে রয়েছে এই সুন্দর চা বাগান আর তার ছোট্ট গ্রাম।
দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সীমানার মধ্যেই পড়ে নিরিবিলি এই জায়গা। যেখান থেকে দার্জিলিং শহর যেমন দেখা যায়, তেমনই দেখা যায় সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা। ইচ্ছে হলে এখান থেকে একদিন দার্জিলিং, একদিন লেপচাজগৎ, আরেকদিন মিরিক ঘুরে আসতেই পারেন।
আর যদি শুধু প্রকৃতির মাঝে কয়েকটা দিন থাকতে ইচ্ছে করে তাও থাকতে পারেন।
প্রকৃতির নিস্তব্ধতাই মিম চা বাগানের সবেচেয়ে বড় সম্পদ। বেশ কিছু সু্ন্দর কাঠের গেস্টহাউস এবং হোম স্টে রয়েছে। যেখান থেকে অনায়াসে হাতে ধোঁয়া ওঠা দার্জিলিং টি-র কাপ নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারেন কিংবা পাইনগাছের সারিতে প্রকৃতির কোনও রহস্যের সন্ধানে বেরিয়ে পড়তে পারেন।
ঘুম স্টেশন থেকে গাড়ি বুক করে মিম চা বাগানে যাওয়া যায়। মিরিক থেকে গেলে সিকিয়াপোখরি পেট্রল পাম্প হয়ে যেতে হবে। ওখানেই সাইনবোর্ড দেখতে পেয়ে যাবেন। যাওয়ার খরচ আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। আর থাকার খরচ দিন পিছু গড়ে ১ থেকে ২ হাজার টাকা মতো।