সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবায় করোনা ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার খোদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। মঙ্গলবার কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। সেখানেই কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন যাদবপুরের সাংসদ। কিন্তু পরে নাকি তিনি জানতে পারেন কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই টিকাকরণ শিবিরটি চলছিল। এই অভিযোগে এক ভুয়ো আমলাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মিমি চক্রবর্তী জানান, টিকা নেওয়ার পর মোবাইলে মেসেজ না আসার পরই সন্দেহ শুরু হয়। ক্যাম্পে গিয়ে সার্টিফিকেট চাইলে বলা হয় তিন-চারদিন পর সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপরই নাকি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকাকরণ প্রক্রিয়া থামিয়ে দেন মিমি।
[আরও পড়ুন: ইংরেজদের দেওয়া ‘ইন্ডিয়া’ নাম মুছে দেশ হোক ‘ভারত’, নয়া দাবি কঙ্গনার]
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। অভিযোগ, তাতেই উপস্থিত ছিল দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি। সে নিজেকে আইএএস (IAS) বলে পরিচয় দেয়। এছাড়াও ক্যাম্পে দাঁড়িয়েছিল নীল বাতি লাগানো কলকাতা পুরসভার গাড়ি। কলকাতা পুরসভার লোগো লাগানো মাস্ক এবং স্যানিটাইজারও ওই টিকাকরণ শিবির থেকে বিলি করা হয়। আচমকা এই শিবির দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। সে কারণে ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে পুলিশ প্রথমে দেবাঞ্জন দেবকে আটক করে। রাতভর জেরা করা হয় তাকে। তারপরই পুলিশ জানতে পারে, দেবাঞ্জন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছে। সে তথ্য জানার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সেই টিকাকরণ শিবিরেই মঙ্গলবার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সঙ্গে কোভিড টিকার (Covid Vaccine) প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন মিমি। জুন মাসে প্রাইড মাস (Pride Month) সেলিব্রেট করা হচ্ছে। সেই কারণেই ভ্যাকসিনের সমানাধিকারের কথাও জানিয়েছিলেন যাদবপুরের সাংসদ। কিন্তু একদিন পরই পরিস্থিতি পুরো পালটে গিয়েছে। ঘটনায় পুরসভার কোনও কর্মীর যোগসূত্র থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। ইতিমধ্যেই পুরসভার পক্ষ থেকে পুলিশকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানানো হয়েছে। টিকার ব্যাচ নম্বরও পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জন দেব নামের ওই ব্যক্তির উদ্যোগে সোনারপুর দক্ষিণেও একটি টিকাকরণের শিবির হয়েছিল। ৩ জুনের ওই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক লাভলি মৈত্র।