সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুষ্কৃতীদের হাতে নিগৃহীত মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল ও তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। বিধায়কের স্বামী মৃত্যুঞ্জয়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের দলনেতা। এই হামলার ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূলের আরেক পক্ষ। কৃষকদের জমি আত্মসাৎ নিয়ে অশান্তির জেরে হামলা বলেই খবর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।
বৃহস্পতিবার কালীপুজোর রাতে স্থানীয় এলাকায় আমন্ত্রণ ছিল বিধায়ক এবং তাঁর স্বামীর। বেশ কয়েকজন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। হাড়োয়া অটোস্ট্যান্ডের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকায় বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় প্রথমে। পরে বিধায়ক এবং তাঁর স্বামীকে গাড়ি থেকে নামানো হয়। লাঠি দিয়ে বিধায়কের ডান পায়ে আঘাত করা হয়। বিধায়কের স্বামীকেও মারধর করা হয়। হাড়োয়া থানায় রাতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিধায়কের উপর হামলা প্রসঙ্গে হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা বলেন, "বিজেপি ও সিপিএমের এজেন্টরাই আমাদের উপর হামলা চালায়।"
কী কারণে হামলা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কারও কারও দাবি, কৃষকদের জমি আত্মসাৎ নিয়ে অশান্তির জেরে এই হামলা। কারণ, বিধায়ক ঊষারানির স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। মিনাখাঁর সোনাপুকুর-শংকরপুর ও কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারগাতি মৌজার প্রায় আড়াই হাজার বিঘা জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা শুভেন্দু মণ্ডল ও শক্তিশংকর গাইনদের দাবি, "ওই জমিগুলি বিঘা প্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু তার থেকে আমরা বঞ্চিত। কারণ, মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল দিনের পর দিন আমাদের হুমকি দিয়ে বঞ্চিত করছেন। আমরা চাই জমির দ্রুত নিলাম হোক। এবং আমরা জমির ন্যায্যমূল্য পাই।" যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন 'আক্রান্ত' বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল।