মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: সাতসকালে পথ দুর্ঘটনা হাওড়া (Howrah)জগৎবল্লভপুরে। সামনের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভরা নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ল যাত্রীবাহী একটি মিনিবাস (Mini bus)। বর্ষাকালে নয়ানজুলি সম্পূর্ণ ভরতি থাকায় বাসটি পুরো ডুবে যায় বলে জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় বাকি যাত্রীদের নিরাপদেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পর ডুবুরি না আসায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। প্রতিবাদে ২ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা।পরে ক্রেনের (Crane) সাহায্যে বাসটিকে জল থেকে তোলা হয়। নয়ানজুলিতে আরও কেউ রয়েছেন কিনা, তা খুঁজতে তল্লাশি চলছে এখনও।
ঘড়ির কাঁটা তখন ৭টা ছুঁয়েছে। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের পুরাস থেকে হাওড়াগামী একটি মিনিবাস যাত্রীদের নিয়ে রওনা দিয়েছিল। প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বাসে। সন্তোষপুরের কাছে আচমকাই বাসের সামনের দিকে চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সোজা গিয়ে পড়ে নয়ানজুলিতে। ভরা বর্ষায় নয়ানজুলি জলে টইটম্বুর। স্রোতও রয়েছে। ফলে বাসটি সম্পূর্ণ ডুবে যায়। তা দেখে স্থানীয়রাই ছুটে যান। তাঁরাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। বাসের জানলার কাচ ভেঙে যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। তবে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর নাম আহমেদ মিদ্যা। বয়স চল্লিশ বছর। তিনি সন্তোষপুরেরই বাসিন্দা। পরে আরও একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: Murshidabad: রাস্তায় দাঁড়িয়ে যুগলের চুমুতে আপত্তি! প্রতিবাদীকে লক্ষ্য করে গুলি প্রেমিকের]
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরও ডুবুরি না আসায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী। তাঁরা ঘণ্টাদুয়েক পথ অবরোধ করে রাখেন। পরে জগৎবল্লভপুরে থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ প্রশমন করে। পরে ক্রেন দিয়ে বাসটিকে জল থেকে তোলা হয়। তবে নয়ানজুলি থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। তাই তাঁরা দাবি করছেন, দ্রুত ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হোক।