shono
Advertisement

হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি চালুর নির্দেশ

প্রতিদিন সরকারি ভবনের অগ্নিনির্বাপণ, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, নিকাশি ব্যবস্থার উপর নজরদারি চালাতে হবে৷
Posted: 03:17 PM Sep 03, 2016Updated: 09:47 AM Sep 03, 2016

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি বহুতল বাড়ি ও হাসপাতালের বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বাড়তি নজরদারি ব্যবস্থা – দু’টি বিষয়ই জরুরি ভিত্তিতে চালুর নির্দেশ দিলেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস৷ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বড় বাড়ি ও হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে শুক্রবার এক বৈঠকে মন্ত্রী বলেছেন, “যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাসপাতাল বাড়িগুলি রক্ষণাবেক্ষণে নিজেদের জ্ঞান ও কাজের পরিধিকে বিশ্বমানের করতে হবে৷ ২০-২৫ বছর আগে যে প্রযুক্তি এবং নকশা ব্যবহার করা হত, তা বর্জন করে আধুনিক ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের উন্নীত করতে হবে৷ সর্বোপরি সরকারি কাজ মানে ‘১৮ মাসে বছর’ বিষয়টি রেয়াত করা হবে না৷ প্রতিদিনই সরকারি ভবনের অগ্নিনির্বাপণ, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, নিকাশি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে, পরিকাঠামোগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে নজরদারি করতে হবে৷ সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে৷”

Advertisement

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও কাটোয়া হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পর পূর্তমন্ত্রীর এদিনের নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ বিশেষ করে, সরকারি হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণে যে সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব রয়েছে তাঁদের আরও বেশি দায়িত্বশীল এবং সচেতন হওয়ার জন্য বলেছেন পূর্তমন্ত্রী৷ সরকারি হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খুব শীঘ্রই ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন পৌঁছে যাচ্ছে৷ সেখানে প্রতি সপ্তাহেই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির বিল্ডিংয়ের পরিকাঠামোগত রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে সামনে রেখে দফতরের সর্বস্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশে পূর্তমন্ত্রীর বার্তা কাজে গাফিলতি হলে যেমন কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে, তেমনই ভাল কাজ হলে অবশ্যই পুরস্কার-সম্মাননা পাবেন দায়িত্বশীল কর্মীরা৷ দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তিরস্কার ও পুরস্কার দু’টি ব্যবস্থাই চালু করতে চলেছেন অরূপ বিশ্বাস৷

অরূপ বিশ্বাস যে পূর্ত দফতরে এত বছর ধরে চলে আসা কর্মসংস্কৃতিতে আমূল বদল ঘটাতে চাইছেন, তার প্রমাণ বিরোধীদের ডাকা বন্ধের দিনে রাজ্যের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠকে বসা৷ বলেছেন, “নির্দিষ্ট সময়ে সংস্কার ও প্রয়োজনে একাধিক অংশে বদল করা কাজ জরুরি ভিত্তিতে করতে হবে৷ সরকারি লাল ফিতের ফাঁস ও ফাইল তৈরি করে রেখে দেওয়ার সংস্কৃতি বর্জন করতে হবে৷ ইমেল-হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইণ্টারনেট ব্যবহার করে দফতরের কাজের গতি বাড়াতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী এখন সমস্ত সরকারি কাজ অনলাইন করে দেওয়ায় আর কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়৷ তাই কাজের গতি বৃদ্ধির পাশাপাশি মানের উন্নয়ন ঘটানোই এখন পূর্ত দফতরের মূল লক্ষ্য৷” বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্তসচিব ইন্দিবর পাণ্ডেও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement