সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে জগদীপ ধনকড়কে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রাজ্যপালকে ‘শোলে’ সিনেমার সুরমা ভুপালির সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি।
জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক কোনওদিনই মধুর নয়। বরং বারবার প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়িয়েছে তাঁরা। সোমবার নবান্ন থেকে সোজাসুজি রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অভিযোগ করেছিলেন, জৈন হওয়ালা কাণ্ডে অভিযুক্ত ধনকড় (Jagdeep Dhakhar)। পালটা দিতে ছাড়েননি রাজ্যপালও। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন ব্রাত্য বসু ও সুখেন্দুশেখর রায়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, “বহুবার ওনার অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে চিঠি পাঠিয়েছেন।” ব্রাত্য বসুর কথায়, “রাজ্যপালের যদি কিছু জানার হতো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। এভাবে প্রকাশ্যে আক্রমণের কোনও কারণ ছিল না।” আলোচনা ছাড়াই কেন দুর্নীতির অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন শিক্ষামন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডের জট খুলতে ফের সক্রিয় ED, অনুপ মাজির বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় শুরু তল্লাশি]
এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকেই রাজ্যপালকে শোলে সিনেমার সুরমা ভুপালির সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন, “আমরা শোলে সিনেমায় সুরমা ভুপালিকে দেখেছিলাম। যে সকলের সামনে হম্বিতম্বি করতেন, কিন্তু নিজেই দুর্নীতিতে যুক্ত। ধনকড়ও তাঁর মতোই।” ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক অভিযোগ করছেন ধনকড়। উল্লেখ্য, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী হাওয়ালা কাণ্ডে ধনকড়ের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করলে তা অসত্য বলেই দাবি করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, “জনগণের সামনে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওঁর মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের কাছ থেকে এরকম মন্তব্য আশা করিনি। আমার নাম জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে ছিল না। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই।”