সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগেই একের পর এক নেতামন্ত্রীর গলায় বিদ্রোহের সুর। যার ফলে বাড়ছে শাসকদলের অস্বস্তি। আর তাকেই হাতিয়ার করেই আসর নেমেছে বিরোধী বিজেপি। এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবার নাম না করে বিদ্রোহীদের বিঁধলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এবং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার বারুইপুরে সভা ছিল তৃণমূলের। তাতেই অংশ নেন ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) -সহ আরও অনেকে। সেই সভামঞ্চ থেকেই বিদ্রোহীদের উদ্দেশে সুর চড়ালেন ফিরহাদ হাকিম। নাম না করে বেসুরোদের বিঁধলেন। তাঁর কথায়, “অপমান হচ্ছিল আগে বললেন না কেন? এতদিন কেন মন্ত্রী থাকলেন? বিজেপি এসে কানের কাছে বলছে তারপর মনে পড়ল? আর একজন হুক্কাহুয়া করলে সকলেই করতে থাকে। তৃণমূল সাগরের মতো। আমি সম্মান পেলাম কিনা বড় কথা নয়। মানুষ পেল কিনা বড় কথা।” এতটা চাঁচাছোলা ভাষায় না হলেও দলীয় সভা থেকে বেসুরোদের বার্তা দিতে ভুললেন না দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন অনেকেই বেসুরো। মমতার সুরে কথা না বললে অনেকে নিজেই বেসুরো হবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘গোর্খাদের সঙ্গে প্রতারণার ফল কী, বুঝিয়ে দেব দিলীপ ঘোষদের’, জনসভা থেকে হুমকি গুরুংয়ের]
সাম্প্রতিক অতীতে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary)। বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে এখনও শোনা যাচ্ছে তাঁর দলবদলের জল্পনা। শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব ত্যাগের দিনই দলবদল করেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami)। নাম লেখান বিজেপিতে। শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থনও জানিয়েছেন দলের অনেকেই। শনিবারই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। সেদিন যদিও রাজীবের কাজের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তবে রবিবার বারুইপুরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেই পরোক্ষে ফিরহাদ বার্তা দিয়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।