ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শুভেন্দু, রাজীবের পর এবার ‘বেসুরো’ জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এবার তাঁর মানভঞ্জনে আসরে নামলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের ফোনে কথা হয়। মঙ্গলবার ক্যামাক স্ট্রিটের একটি অফিসে বৈঠকের কথা। ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও বৈঠকে থাকতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া তৃণমূলের ভোটকৈশলী প্রশান্ত কিশোরও (Prashant Kishor) ওই বৈঠকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক কারণে আসানসোল পুরসভাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) একটি চিঠি লিখেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জানা গিয়েছে, রবিবার পুরমন্ত্রীকে এই চিঠি পাঠান আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। যেখানে একাধিক ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। লেখেন, কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের ২০০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে আসানসোল। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের টাকাও তাঁরা পায়নি বলেই অভিযোগ। তাঁর কথায়, রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের টাকা নিয়ে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। যার জেরে আদতে ক্ষতি হয়েছে আসানসোলের। বহুবার বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন।
[আরও পড়ুন: সাফল্য বনাম ব্যর্থতা, শাসকদলের রিপোর্ট কার্ডের পালটায় বিজেপির হাতিয়ার ‘তৃণমূলের ফেল কার্ড’]
পুরমন্ত্রীকে পাঠানো জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) চিঠিটি সোমবার সকালে টুইট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। যা মোটেও ভালভাবে নেননি জিতেন্দ্র। এই চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্তকে যদিও ভাল চোখে দেখছেন না ফিরহাদ হাকিম। আগে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল বলেও জানান তিনি। যদিও এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে বিরোধী বিজেপি। আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ‘সত্যি কথা বলা’র জন্য জিতেন্দ্রকে সমর্থনও করেছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যু মেটাতে তাই উঠে পড়ে লেগেছে শাসকদল। আগামিকালের বৈঠকে আদৌ কোনও সমাধানসূত্র বেরোয় কিনা, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।