গোবিন্দ রায়: সন্দেশখালির ক্ষোভ মেটাতে উন্নয়নে জোর প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনিবার সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সন্দেশখালির ১নং ব্লকের বিডিও অফিসের কমিউনিটি হলে এদিন আয়োজিত হয় এই বৈঠক। সেখানে সন্দেশখালি জুড়ে একাধিক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের পাশাপাশি নদীবাঁধ সংস্কারে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
চলতি বছরের শুরু থেকেই রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল সন্দেশখালি। কখনও শেখ শাহজাহান তো কখনো শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানকার জনতা। মুহূর্তে সেই ঘটনা নজর কেড়ে নেয় গোটা দেশের। ভোটেও তার রেশ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে শাসকদল। বসিরহাট লোকসভা থেকে বিপুল ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম জয়লাভ করলেও সন্দেশখালি বিধানসভায় হেরে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবতই এই হারের ফলে যথেষ্টই চাপে রয়েছে শাসক দল।
[আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে তপ্ত বাংলাদেশ! শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, সাংসদের কার্যালয়ে আগুন]
এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর দু'মাসের মধ্যেই প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে সন্দেশখালির উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠেন রাজ্য সরকার। সেই মতই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, বসিরহাটের মহকুমা শাসক, বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধানরা। এই বৈঠকে সন্দেশখালি জুড়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও নদীবাঁধ সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, "লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিতে একটা ইস্যু তৈরি করে জাতীয় স্তরে তা প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু তা মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী এখান থেকে বিপুল ভোটে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন। সন্দেশখালির মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নজর রয়েছে এই সন্দেশখালিতে। আর সেই কারণেই এই প্রশাসনিক বৈঠক। খুব দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়নের কাজগুলো শেষ করতে বদ্ধপরিকর আমরা।"