ধীমান রায়, কাটোয়া: পাড়ার টিউবওয়েলে জল আনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া (Katwa) থানার শ্রীখন্ড গ্রামের ঘটনা। ওই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক। অভিযুক্তরা দুজনেই নির্যাতিতার প্রতিবেশী।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন বুধবার নির্যাতিতার আদালতে গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। সমগ্র ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।
[আরও পড়ুন: শান্তি বজায় রাখতে মোমিনপুরে আরও চারদিন জারি ১৪৪ ধারা, সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা ডিজির]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীখন্ডের সাহেবডাঙ্গা আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা ১৪ বছরের ওই আদিবাসী নাবালিকা। শ্রীখন্ড উচ্চাঙ্গিনী বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তারা দুই ভাই, এক বোন। বাবা-মা দুজনেই শ্রমিকের কাজ করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার। ওদিন রাত আটটা নাগাদ পাড়ার টিউবওয়েলে জল আনতে গিয়েছিল মেয়েটি। অভিযোগ, সেসময় তাকে দুজন মিলে মুখ চেপে ধরে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পাশাপাশি দুজন মিলে মেয়েটিকে হুমকি দেয় যাতে ঘটনার কথা কাউকে না বলে। তাহলে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেয়।
জানা গিয়েছে, মেয়েটি সোমবার থেকেই অসুস্থতাবোধ করে। মঙ্গলবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন মেয়েটি সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে। সেকথা পাড়াপ্রতিবেশীদের জানান ছাত্রীর মা। এরপর কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বুধবার দুপুরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে এক যুবক বিবাহিত বলে জানা যায়। তার একটি সন্তানও আছে। বৃহস্পতিবার ধৃত যুবককে আদালতে তোলা হবে এবং ওই নাবালককে জুভেইনাল আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।