গোবিন্দ রায়: ১৩ বছরের নাবালিকা। সে ও তার বোন থাকত দাদুর কাছে। বাবা-মা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। দাদুর কাছে থাকবেও দুই বোনের ঠিকমতো খাবার জুটত না দুবেলা। আর সেই সুযোগটাই নিয়েছিল পাশের বাড়ির কাকু। খাবার দেওয়ার নামে মাঝেমধ্যেই নাবালিকাকে ডাকত বাড়িতে। সেইসময় কিশোরীর উপর চলত পাশবিক অত্যাচার। ফলত অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। বিষয়টা যখন জানাজানি হয় ততদিনে ২৫ সপ্তাহ ৪ দিনের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ পূর্ব মেদিনীপুরের নাবালিকা।
আপাতত নাবালিকায় ঠাঁই হয়েছে হোমে। হোম কর্তৃপক্ষই নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে গর্ভপাতের আরজি জানিয়েছে আদালতে। বুধবার মামলা শুনলেও রায় দেয়নি আদালত।শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল তার বাবা-মা। তখন বিষয়টি জানাজানি হয়। চিকিৎসক পুলিশে এফআইআর করেন। সেই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়। মেয়েটিকে সরকারি হোমে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: জামিনে মুক্ত নুহ হিংসার অন্যতম মুখ ‘গোরক্ষক’ বিট্টু বজরঙ্গি]
এদিকে মেয়েটিকে রেখে তার বোনকে নিয়ে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে তার বাবা-মা। আপাতত হোমই ঠিকানা মেয়েটির। তার তরফের আইনজীবী প্রতীক ধর এবং চিত্তপ্রিয় ঘোষ জানিয়েছেন, কিশোরীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই গর্ভপাতের আরজি জানানো হয়েছে। আদালত আরজি শুনলেও রায় আপাতত স্থগিত রেখেছে।