দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: নাবালিকাকে ধর্ষণ (Rape) করল ভাগ্নে। আর তাতে মদত দিল তার মামা। নারকীয় এই ঘটনায় দু’জনকেই গ্রেপ্তার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। পকসো আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। বুধবার ধৃতদের শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
ওই নাবালিকার পরিবার হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়া হিন্দমোটর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। নাবালিকার মা আয়ার কাজ করেন। বাবা লরি চালান। অভিযোগ, ৩ ডিসেম্বর রাতে কাজের খাতিরে বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। রাত একটার সময় নাবালিকা শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরোয়। অভিযোগ, বাড়িওয়ালার ভাগ্নে রাজবলি জোর করে তাকে ঘরে নিয়ে যায়। ওই ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। বাড়িওয়ালা সরোবর তাঁতি ভাগ্নের সমস্ত কুকীর্তির সাক্ষী ছিল বলেই দাবি নাবালিকার পরিবারের।
[আরও পড়ুন: ‘ওয়ানডে অধিনায়ক থাকছি না, জানানো হয় মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে’, বোমা ফাটালেন কোহলি]
ঘটনার পরের দিন কাজ থেকে ফিরে নাবালিকার মা দেখেন মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাবা-মাকে ঘটনার কথা জানালে তার ফল মারাত্মক হবে বলে হুমকি দেয় মামা ও ভাগ্নে। তাই প্রথমে ভয়ে মাকে কিছুই জানাতে চায়নি ওই নাবালিকা। পরে ওই নাবালিকা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার পুরো ঘটনার কথা তার মাকে জানায়। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, ধর্ষণের আগেও বারবার মেয়েকে উত্যক্ত করত রাজবলি। তাঁকে জোর করে বিয়ে করার হুমকিও দিয়েছিল সে। তাতেই ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত নাবালিকা।
ধর্ষণের কথা জানাজানির পর ওই নাবালিকার মা উত্তরপাড়া থানায় রাজবলি তাঁতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে ধর্ষণে মদত দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতেই উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওই নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। বুধবার নাবালিকার মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ মামা ও ভাগ্নেকে গ্রেপ্তার করে।