সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী রাজ্যে পুলিশের (UP Police) বিরুদ্ধে ভয়ানক অভিযোগ! এক নাবালিকা গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গেলে থানায় তাকে ফের ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ললিতপুরে। নাবালিকার পরিবারের তরফে মঙ্গলবার এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ললিতপুরের পুলিশ প্রধান নিখিল পাঠক জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২২ এপ্রিল। দায়ের হওয়া অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, চার যুবক ১৩ বছর বয়সি ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর লাগাতার গণধর্ষণ করা হয় তাকে। অবশেষে ২৬ এপ্রিল সকালে তাকে পালি থানার সামনে ফেলে দিয়ে যায় ওই যুবকরা। থানার কর্মীরা নাবালিকার এক আত্মীয়াকে খবর দেয়। ওই আত্মীয়ার বাড়িতেই মেয়েটিকে রাখা হয়। পরিবার সূত্রে জানান হয়েছে, তাঁদের মেয়ে যে ওই আত্মীয়ার কাছে রয়েছে, সে কথা তাঁদের অজানা ছিল।
[আরও পড়ুন: যোধপুর সংঘর্ষে গ্রেপ্তার ৯৭, অশান্তিতে উসকানি দিচ্ছেন গেহলট, দাবি বিজেপির]
এই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল ফের থানায় ডেকে পাঠান হয় ওই নাবালিকা এবং তার আত্মীয়াকে। বলা হয়, গণধর্ষণের (Gangrape) বয়ান রেকর্ড করতেই ডাকা হচ্ছে তাকে। সারাদিন থানায় রাখা হয় নাবালিকাকে। সেই সময়েই একটি আলাদা ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে ওই নাবালিকা। কিছু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আত্মীয়ার উপস্থিতিতেই ধর্ষণ (Rape) করা হয় নাবালিকাকে। সেদিনও ওই আত্মীয়ার সঙ্গেই বাড়ি ফিরে আসে নাবালিকা।
৩০ এপ্রিল পালি থানার তরফ থেকে একটি চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয় নাবালিকাকে। কী কী ঘটেছিল তার সঙ্গে, বিস্তারিত ভাবে সেখানে জানায় নাবালিকা। তখনই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। নাবালিকার পরিবারকে তাঁরাই বলেন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে। মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করেন মেয়েটির পরিবার। তিলকধারী সরোজ নামে এক স্টেশন হাউস অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তাকে খুঁজতে তিন পুলিশের একটি দল গঠন করা হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ম্যাঁক্রো-মোদি সাক্ষাতের আগেই ধাক্কা নয়াদিল্লির, সাবমেরিন তৈরির চুক্তি থেকে সরল ফরাসি সংস্থা]