সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে আর জি করের ঘটনা নিয়ে ভারতবর্ষ যখন তোলপাড় এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপি প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে, ঠিক এই সময় ত্রিপুরায় উপজাতি নাবালিকার উপর নির্যাতন ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল বিজেপির কোনও উচ্চবাচ্য নেই। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সুশীল সমাজ।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমার মনু বাজার থানার অন্তর্গত কালী বাজার এলাকায় মাসি সুপ্রিয়া ত্রিপুরার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল ওই উপজাতি নাবালিকা। তার বাড়ি মুহুরীপুর মতুয়া সরদার পাড়ায়। গত ২৪ জুলাই রাতে তাকে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরে মেয়েটির গোপনাঙ্গে গরম জল ঢুকিয়ে দেয়ে পালিয়ে যায় এক উপজাতি নাবালক যুবক। খবর পেয়ে রাতেই মনু বাজার থানার পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে কলাছড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতি দেখে সাথে সাথে শান্তি বাজার জেলা হাসপাতালে তাকে রেফার করা হয়। বর্তমানে নাবালিকা মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। মনু বাজার থানা পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।
[আরও পড়ুন: SCO বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদে যাবেন মোদি? পাক আমন্ত্রণ নিয়ে মুখ খুলল বিদেশমন্ত্রক]
শুক্রবার মনু বাজার থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ (ওসি) বিষ্ণুপদ ভৌমিক জানান, এক মাস আগে এই নাবালিকা মেয়েটিকে তার মাসি সুপ্রিয়া ত্রিপুরা একটি উপজাতি নাবালক ছেলের হাতে তুলে দেন শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য। কিছুদিন পর মাসি ফের অন্য একটি উপজাতি নাবালক ছেলের হাতে তুলে দেন শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য। গত মাসের ২৪ তারিখ মেয়েটিকে বেড়াতে আসতে বলেন মাসি। দ্বিতীয় উপজাতি নাবালক ছেলেটি সেই খবর পেয়ে সেখানে এসে মেয়েটিকে গলা চেপে ধরে মাটিতে ফেলে গোপনাঙ্গে গরম জল ঢুকিয়ে দেয়। মনু বাজার থানা দুই নাবালককেই আটক করেছে। এদিন অভিযুক্তদের সাব্রুম মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়।
ওসি আরও জানান, নির্যাতিতা নাবালিকা উপজাতি মেয়েটির মাসি সুপ্রিয়া ত্রিপুরা এবং মেসো সুকান্ত ত্রিপুরাকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। নাবালিকা উপজাতি মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধর্ষণের পর মর্মান্তিক নির্যাতনের খবর সাব্রুম মহকুমা জুড়ে ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।