সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারকীয় নির্যাতনের শিকার মাত্র বছর ষোলোর নাবালিকা। মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই জীবনে একের পর এক ধাক্কা সহ্য করছে সে। মাত্র ছ’মাসেই ৪০০ জন তাকে ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। পরিবর্তে রক্ষাকারীর যৌন লালসার শিকার হয় মহারাষ্ট্রের বিদের ওই কিশোরী। বর্তমানে ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে।
কিশোরীর দাবি, মাত্র বছরদুয়েক আগে তার মায়ের মৃত্যু হয়। তারপর বাবার সঙ্গে বাস করতে সে। বাবাই তার বিয়ের বন্দোবস্ত করে। আট মাস আগে বিয়েও হয়ে যায়। অভিযোগ, দাম্পত্য জীবন মোটেও সুখের ছিল না। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে। প্রথমদিকে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করত। তবে একসময় অত্যাচার অসহ্য হয়ে ওঠে। বাধ্য হয়ে বাপেরবাড়িতে ফিরে আসে।
[আরও পড়ুন: প্রেমে পড়া বারণ! খদ্দেরের বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে এ কী করলেন যৌনকর্মী!]
কিশোরীর দাবি, কয়েকদিন বাবা তার খরচ চালাচ্ছিলেন। তবে তাঁর পক্ষে নিত্যদিন মেয়ের খরচখরচা বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ওই নাবালিকা ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে। আমবাজোগাই বাসস্ট্যান্ডেই ভিক্ষা করত সে। অভিযোগ, সেই সময় প্রায়শয়ই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মাসে কমপক্ষে ৪০০ জন তাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়ে আমবাজাওগাই থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায় সে। অভিযোগ, সেই সময় এক পুলিশ আধিকারিকও তাকে ধর্ষণ করে।
তবে এক পুলিশ আধিকারিকই বিপদের মুহূর্তে তার পাশে দাঁড়ায়। কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করেন তিনি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একাধিক ব্যক্তির যৌন নির্যাতন সহ্য করা ওই নাবালিকা বর্তমানে ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গোটা ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কিশোরী।