সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেসরকারি হাসপাতালের কমোডে সন্তান প্রসব করে তাকে ফ্লাশ করল নাবালিকা নির্যাতিতা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচির (Kochi) একটি হাসপাতালে। অল্প সময়েই নির্যাতিতার এই কাজ ধরা পড়ে যায়। আর তার জেরে হাসপাতাল চত্বরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার মায়ের সঙ্গে ওই বেসরকারি হাসপাতালে চেক আপের জন্য গিয়েছিল নাবালিকা। চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করতে করতে তার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। শৌচাগারে যায় সে। সেখানেই সময়ের অনেক আগে তার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়ে যায়। নাবালিকা ঘটনাটি প্রকাশ করার পরিবর্তে সদ্য জন্ম দেওয়া সন্তানকে কমোডে ফ্লাশ করে স্ক্যানিং রুমে ফিরে যায়।
[আরও পড়ুন: Farmers Protest: কৃষক সমস্যা না মিটলে মুশকিল পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ জয়! আলোচনা RSS-এর বৈঠকে]
শোনা গিয়েছে, ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল ওই নাবালিকা। মৃত সন্তানই নাকি প্রসব করেছিল সে। তার দেহ কমোডে ফ্লাশ করে দিয়েই শৌচালয় থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সদ্যোজাতর দেহ তারপরও কমোডে পড়েছিল। অন্য এক রোগী শৌচালয়ে গেলে তাঁর চোখে পড়ে যায় এই দৃশ্য। তিনি চিৎকার করে বাকিদের ডাকেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পরই জানা যায়, এই কাজ নাবালিকার। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বিষয়টি স্বীকারও করে নেয় নাবালিকা। জানায়, ২০ বছরের এক তরুণ তাকে ধর্ষণ করেছিল। তারপরই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ধর্ষণ বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা বাড়িতে জানায়নি মেয়েটি। গোটা বিষয়টি জানতে পেরে ওয়েনাড়ের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে কেরলের একটি শৌচাগারের ট্যাঙ্কে দু’দিনের শিশুর দেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল। শৌচাগারে কাজ করতে গিয়ে একটি শিশুর মাথা খুঁজে পেয়ে হতবাক হয়ে যান কলের মিস্ত্রিরা।