সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষায় নকল করছ? জামা খোলো। তল্লাশি করব! খানিকটা এভাবেই ১৪ বছরের ছাত্রীকে ধমক দিয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা। যে অভিযোগ মেনে নিতে পারেনি দলিত নাবালিকা ছাত্রী। আর তার জেরেই অভিমানে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
এমনই হাড়হিম করা ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জামশেদপুরে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ছাত্রীটির শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল সে। তারই মধ্যে পুলিশকে সে জানায়, গত শুক্রবার স্কুলে বিজ্ঞান পরীক্ষা চলছিল। সেই সময়ই তাঁর শিক্ষিকা তাঁকে ক্লাসের পাশের একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যান। অভিযোগ করেন, জামার মধ্যে নকল করার কাগজ হয়তো লুকিয়ে রেখেছে ওই নাবালিকা। তাই জামা খুলে তল্লাশি করতে চান। নাবালিকা ছাত্রী তাতে বাধা দিলেও শোনেননি শিক্ষিকা। এমন অপমান মেনে নিতে পারেনি সে। বাড়ি পৌঁছে তিন বোনকে বাইরে চলে যেতে বলে সে। তারপরই ঘরের দরজা বন্ধ করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
[আরও পড়ুন: নভেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে ফের ‘দুয়ারে সরকার’, চলবে টানা একমাস]
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ দলিত মুখি সম্প্রদায়ের মানুষরা শনিবার জেলা শিক্ষা দপ্তরের বাইরে প্রতিবাদে সরব হন। তাতে যোগ দিয়েছিলেন ওই বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও। দলিত সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দাবি করেন, সম্প্রতি নিজের বাবাকে হারিয়েছিল ওই নাবালিকা। অত্যন্ত দৈন পরিবারের মেয়েটি নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে লেখাপড়া করছিল। কিন্তু দলিত হওয়ার কারণে আগেও ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেছে। আর এবার তাঁর জন্যই গায়ে আগুন ধরাতে বাধ্য হয়েছে ছাত্রীটি। একইসঙ্গে তার চিকিৎসার খরচ স্কুল কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে বলে দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা।
ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্য কোনও পড়ুয়ার সঙ্গে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তাও নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা।