সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারী আটকানো নাকি ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন? প্রশ্নটা প্রথম তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে কার্যত তৃণমূল সুপ্রিমোর সুরেই সুর মেলালেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী। সংখ্যালঘুদের তাড়ানোর প্রশ্নে এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।
[ পরাধীন ভারতে স্কুল তৈরি পূর্বসূরির, স্বাধীন দেশে ঠাঁই নেই গোটা পরিবারের ]
১৯৭১-এর ২৪ মার্চের পর থেকে যাঁরা অনুপ্রবেশ করেছেন ভারতে তাঁরা বৈধ প্রমাণপত্র না দিতে পারলে বাস্তুছাড়া হতে হবে। এই হচ্ছে নিদান। তার ভিত্তিতেই নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়। দেখা যাচ্ছে, সেখানে নাম নেই প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলমান। এই ভিত্তি থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মমতা। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘বাঙালি খেদাও’ শুরু হয়েছে অসমে। ধর্ম ও ভাষার ভিত্তিতে বিভাজনের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। যদিও কেন্দ্রের তরফে সাফাই দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, যা হয়েছে তা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানেই। এ নিয়ে কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই। আজও এই নিয়ে সংসদে বিরোধীরা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি জানান, গণতন্ত্র মেনেই এনআরসি হয়েছে অসমে। যদিও সহমত নন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তাঁর দাবি, অসমের বিজেপিশাসিত সরকার টার্গেট করেছে সংখ্যালঘুদেরই। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অসমে আছেন, তাঁদের এভাবে উৎখাত করা যায় না। এমনকী বৈধ প্রমাণপত্র যদি নাও থাকে তবু এরকম করে কাউকে ভিটেছাড়া করা যায় না।
এদিকে অসমের অনুকরণে বাংলাতেও এনআরসি করে বাংলাদেশি তাড়ানোর ডাক দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে এ কাজ বাংলাতেও শুরু করবে বিজেপি। যা নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতেও কি তাহলে নাগরিকপঞ্জি হবে। কারণ অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা সেখানেও কম নয়। উত্তরের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানান, ত্রিপুরায় এরকম কোনও নাগরিকপঞ্জি তৈরির দরকার নেই। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে সেখানে। এমনকী অসমের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।
The post বিজেপির টার্গেটে সংখ্যালঘুরাই, অসম ইস্যুতে মমতার সুরেই সুর মেলালেন মায়াবতী appeared first on Sangbad Pratidin.