সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গুরু দ্রোণাচার্য’ আমিন সায়ানির প্রয়াণে শোকবার্তা মীর আফসার আলির। স্মৃতির সরণিতে হাঁটলেন বাংলার প্রখ্যাত রেডিও সঞ্চালক। বুধবার প্রয়াত হন বেতারদুনিয়ার ‘বাদশা’ আমিন সায়ানি (Ameen Sayani)। মীরের শোকবার্তায় উঠে এল একটুকরো শৈশবও। কীভাবে আমিন সাহেবের জন্য বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন? সেকথাও তুলে ধরলেন মীর আফসার আলি।
‘বহেনো অউর ভাইয়ো’… একসময়ে এই কণ্ঠ শোনার জন্যই রেডিওতে কান পাততেন শ্রোতারা। সেই কণ্ঠের মালিক কিংবদন্তী রেডিও সঞ্চালক আমিন সায়ানি বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেছেন। যাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারতের সমূহ বিনোদুনিয়া। শোকপ্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এবার ‘দ্রোণাচার্য’ আমিনের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে শোকবার্তা ‘একলব্য’ মীর আফসার আলির।
স্মৃতির পাতা উলটে মীর লিখলেন, “সিঁড়ির তলার এক কামরার ঘরে মীরের শৈশবের একটাই ট্রেজার আইল্যান্ড ছিলেন যে মানুষটি, স্রেফ তাঁর প্রতি আনুগত্য দেখানোর জন্য বাড়িতে বিনাকা টুথপেস্ট ঢুকিয়েছিলাম আমি আব্বা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। যাঁর ‘আকাশবাণী’ শুনতে শুনতে অঙ্কের খাতাগুলোয় ছোট্ট মাথায় ফুল, পাখি, আকাশ, তারা আঁকতাম, তিনিই এই একলব্যের রেডিও-ভাষার প্রথম শিক্ষক। প্রথম গুরু। প্রথম দ্রোণাচার্য। প্রণাম স্যার।”
[আরও পড়ুন: ‘আমি একটু লোভী’, ফিল্ম ফেয়ারে ‘ব্রাত্য’ থাকা শাহরুখ দাদাসাহেব পেয়েই মুখর! দেখুন ভিডিও]
১৯৩২ সালের ২১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে (তৎকালীন বম্বে) জন্ম আমিনের। কেরিয়ারের শুরুতে ছিলেন ইংরেজি ভাষার সঞ্চালক। পরে চলে আসেন হিন্দি ভাষায়। তার পর বাকিটা ইতিহাস। এদেশে তখন বেতারের রমরমা। অচিরেই শ্রোতাদের অন্দরমহলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন আমিন সায়ানি। তাঁর কণ্ঠের জাদু মুগ্ধ করে আট থেকে আশিকে। বিশেষত রেডিও অনুষ্ঠান ‘গীতমালা’ তাঁকে বিপুল খ্যাতি দিয়েছিল।