সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী রবিবারেই মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আগে পাক ক্রিকেটারদের কটাক্ষ করলেন সেদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার মিসবা-উল-হক। তিনি বললেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটার আর কোচ-সকলেরই ভুঁড়ি বেরিয়ে থাকে। সেই জন্যই মাঠে ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারে না পাক ক্রিকেটাররা। প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে বাবর আজমের দল। তারপরে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারের এহেন মন্তব্যে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে পড়বেন পাক ক্রিকেটাররা।
এশিয়া কাপের ফাইনাল খেললেও গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই ফিটনেসের সমস্যায় ভুগেছেন পাক ক্রিকেটাররা। সেই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছেন মিসবা (Misbah-Ul-Haq)। তিনি বলেছেন, “পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের একেবারে বেহাল দশা। কোচ হোক বা ক্রিকেটার- সকলেরই ভুঁড়ি দেখা যায়। শরীরের নীচের অংশ ভারী হওয়ার কারণে মাঠে দ্রুত চলাফেরাও করতে পারে না।” সেই সঙ্গে নিজের ক্রিকেটার জীবনের কথা টেনে এনে মিসবা বলেছেন, “আমাদের দলে অনেকেই ফিটনেস নিয়ে খুব সচেতন ছিল। কিন্তু এখনকার দলে সেরকম কেউ নেই।”
[আরও পড়ুন:‘ভারত এশিয়া কাপে না এলে আমরাও ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাব না’, পালটা চাপ পাকিস্তানের]
কিন্তু দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য হয়েও কেন ফিটনেসে অনীহা থাকছে ক্রিকেটারদের? উত্তরে মিসবা জানিয়েছেন, “নিয়মিত ফিটনেস টেস্ট করা হয় না পাকিস্তানে। আমরা অনেকবার বলেছি, আন্তর্জাতিক মানের ফিটনেস বজায় রাখতে গেলে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই শুরু করতে হবে। কিন্তু পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটেও ফিটনেসের কোনও ভূমিকা নেই। বরং ক্রিকেট প্রশাসকরা আমাদের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।” প্রসঙ্গত, আরব আমিরশাহীতে এশিয়া কাপ চলাকালীন বারবার ক্র্যাম্পের সমস্যায় ভুগেছেন পাক ক্রিকেটাররা। পর্যাপ্ত ফিটনেস না থাকার কারণেই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরা।
এশিয়া কাপে দুরন্ত ফর্মে থাকলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজে অবশ্য ট্রফি জিতেছে এশিয়া কাপ ফাইনালিস্টরা। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার ভারতকে হারিয়ে রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান। সেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালেও উঠেছিল তারা। আগামী ২৩ অক্টোবর প্রতিশোধ নিতে মুখিয়ে থাকবে ভারত, সেকথা বলাই বাহুল্য।