সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুরি করতে এসে বৃদ্ধার উপর অকথ্য যৌন নির্যাতন (Rape) চালানোর পর খুনের চেষ্টার অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেন প্রতিবেশীরা। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুর থানা এলাকার একটি গ্রামে। সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার দাবি, তাঁকে খুনেরও চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রতিবেশীদের তৎপরতায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। ঘটনা ঘিরে থমথমে গোটা গ্রাম। কে বা কারা এই কাজ করল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে আক্রান্তের পরিবার সূত্রে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের একটি টালির বাড়িতে একাই থাকতেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা। তাঁর ছেলে পরিবার নিয়ে থাকতেন একটু দূরে। তবে মায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। তিনিই জানান, শনিবার রাতে তাঁর মায়ের বাড়িতে টালির ছাদ খুলে ঘরের ভিতর ঢোকে জনাকয়েক দুষ্কৃতী। তাদের টার্গেট ছিল, বৃদ্ধার সেলাই মেশিন। সেই মেশিনটি চুরি করাই উদ্দেশ্য ছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু তা করতে গিয়েই তাঁর বৃ্দ্ধা মাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁকে খুনেরও চেষ্টা করা হয়।
[আরও পড়ুন: মাদক খুঁজতে গিয়ে খাস কলকাতার উদ্ধার কোটি কোটি কালো টাকা, আটক ২]
বৃদ্ধার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, বছর খানেক আগে সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার রাতে দুষ্কৃতীদের আটকাতে গিয়ে তাদের যৌন হেনস্তার শিকার হন তিনি। তাঁকে মারধরও করা হয়। অনুমান, তাঁকে খুনের চেষ্টা (Attempt to murder) করা হয়েছিল। কিন্তু কে বা কারা এই দুষ্কর্ম ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে কোনও আন্দাজ করতে পারছেন না নির্যাতিতা বৃদ্ধা। তাঁর পরিবারও এনিয়ে অন্ধকারে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।