সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার চিকিৎসা করাতে নাসিকের হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন মহারাষ্ট্রের এক বৃদ্ধা। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। সেই নিখোঁজ বৃদ্ধার দেহ শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হল ওই সরকারি এক হাসপাতালের শৌচাগার থেকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
৮২ বছরের ওই বৃদ্ধা ২ জুন জলগাঁওয়ের সিভিল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে নিখোঁজ তিনি। মহারাষ্ট্র বিজেপি নেতা কিরিট সোমিয়া এই ঘটনার কথা টুইটারে জানিয়েছেন। এও বলেছেন ওই বৃদ্ধার নাতি তাঁর কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন করেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে ট্যাগ করে সোমিয়া লিখেছেন, “আমরা ওদের বিচার পেতে সাহায্য করব।” সোমবারও এমন একটি ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রের একটি সরকারি হাসপাতালে। COVID-19 ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৮০ বছর বয়সী এক রোগী সোমবার নিখোঁজ হয়ে যান। একদিন পরে বোরিভালি রেলস্টেশনের কাছে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর নাতির বক্তব্য, “তিনি ৫টার সময় বাড়ি বের হন। সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি মারা যান। এটি আমাদের কাছে লুকনো হয়। পরে আমাদের জানানো হয়েছিল যে আমাদের দাদু হাসপাতালে নেই। এসব বন্ধ হওয়া উচিত। আর কেউ যেন এই সমস্যার মুখোমুখি না হন।”
[ আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে অর্থসংকটে ভারত সরকার! বিপুল ক্ষতির হিসাব দিলেন গড়করি ]
দেশের মধ্যে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। আর এখানে থেকেই করোনা রোগীদের দেহ সবচেয়ে বেশি নিখোঁজ হয়েছে। মুম্বইয় সম্প্রতি ছ’টি মৃতদেহ দাহ করা হয়েছে যার কোনও দাবিদার নেই। অন্যদিকে বহু পরিবার তাদের আত্মীয়দের সন্ধান করছে। তবে বেশিরভাগ পরিবার জানিয়েছে যে তারা তাদের আত্মীয়দের মৃতদেহ সন্ধান করছে। কিছুদিন আগে ৬০ বছর বয়সি এক মহিলাকে দাহ করা হয়। মুম্বইয়ের সিয়ন হাসপাতাল জানিয়েছিল যে তাঁর ঠিকানা তাদের রেকর্ডে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। যদিও মৃতার পরিবারের দাবি তাঁরা নিয়ম মেনেই সব তথ্য নথিভুক্ত করেছিলেন। এভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকায় কিরিট সোমিয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন। সেখানে তিনি অভিযোগ জানান, “মুম্বইয়ে গত কয়েকদিনে আধ ডজন করোনার রোগীর দেহ নিখোঁজ হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।”
[ আরও পড়ুন: ভারতীয় ভেষজেই রয়েছে করোনা মুক্তির অব্যর্থ দাওয়াই, চাঞ্চল্যকর দাবি বাবা রামদেবের ]
The post ৮ দিন পর নিখোঁজ করোনা রোগীর দেহ উদ্ধার শৌচাগারে, কাঠগড়ায় নাসিকের হাসপাতাল appeared first on Sangbad Pratidin.