সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শুক্রবার তিনি কলকাতায় এসেছিলেন, অসুস্থ বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দেখতে। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর পিঠে চোট রয়েছে। এই খবর পেয়েই তাঁকে দেখতে ছুটে আসেন মিঠুন। আর তার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুনের স্পষ্ট বক্তব্য, ”সন্দেশখালিতে সত্যের বিস্ফোরণ ঘটছে। তা থামানো যাবে তো? সেখানে তো মহিলারাই সরব হচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন। এই সমবেত আওয়াজ যেন না থামে।” তাঁর এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অশান্তিতে ইন্ধন জোগাচ্ছেন মহাগুরু?
উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে গিয়ে বারবারই বাধা পাচ্ছে বিজেপি প্রতিনিধিদল। শুক্রবারও জে পি নাড্ডার (J P Nadda) তৈরি টিমের সদস্যরাও সেখানে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় আইন মেনেই সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিলেন মহিলা মন্ত্রী, সাংসদরা। কিন্তু তাও যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পুলিশের। এনিয়ে মিঠুনের প্রতিক্রিয়া, ”বাধা না দিলে তো সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। তাই বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেখুন, শাহজাহান ভালো না খারাপ, সেটা তো বিচার সাপেক্ষ। কিন্তু এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি ওখানকার, তা ভয়াবহ। এভাবে কি সত্যি চাপা দেওয়া যাবে? আটকাতে পারবেন এই সত্যের বিস্ফোরণ?” এই ইস্যুতে রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ ৩ আইপিএস অফিসারকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মহাগুরুর প্রতিক্রিয়া, ”সেখানে গেলেই সত্যি কথা বলতে পারবেন তাঁরা। নইলে বাইরে কথা বললে অনেকের মনে হবে, বানিয়ে বলছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘ছেলেটাকে দেখে রাখবেন স্যর’, সরফরাজের অভিষেকের পরে রোহিতকে অনুরোধ বাবার]
ওই এলাকায় আরএসএসের বাসা আছে – সন্দেশখালিতে অশান্তির নেপথ্যে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরোধিতায় মিঠুন বললেন, ”আরএসএস গোটা পৃথিবীতে আছে। আর তা নেগেটিভ নয়, পজিটিভ ফোর্স। একটা দেশ গঠনে আরএসএসের বড় ভূমিকা রয়েছে।” শুক্রবার কলকাতার নামী হাসপাতালে গিয়ে সুকান্তর সঙ্গে দেখা করেন মহাগুরু। তার পর বেরিয়ে তিনি বলেন, ”সুকান্ত বারবার সন্দেশখালির কথা বলছে, ওখানে যেতে চাইছে। আমি ওকে বলেছি, আগে সুস্থ হতে হবে।” তিনি নিজেও সন্দেশখালি যেতে চান, কিন্তু তাঁকে বারণ করা হচ্ছে বলে জানালেন। মিঠুনের মন্তব্য, আমি ওখানে গেলে গোলমাল হবে। আর এখন গোলমাল করার সময় নয়।”
মিঠুন চক্রবর্তীর এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”মিঠুন চক্রবর্তী নারী নির্যাতন নিয়ে এত কথা বলছেন, আমি প্রশ্ন করতে চাই, আপনার স্ত্রী আর ছেলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটা কীসের? আপনার বাড়িতে কী ঘটে? আপনার কাছ থেকে নারী নির্যাতন নিয়ে কথা শুনব?”
দেখুন ভিডিও: