রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি বাংলায়। তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধী শিবিরগুলো। আমজনতা থেকে শিল্পী, সকলেই পথে নেমেছেন বিচারের দাবিতে। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলার আন্দোলনে যখন শামিল হয়েছে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোও, তখন মৌনব্রত ভাঙলেন 'মহাগুরু'। আর জি কর কাণ্ডে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
ভিডিও বার্তায় বিজেপি নেতা তথা মেগাস্টার মিঠুনের মন্তব্য, "আমি অনেক দিন ধরে, অনেক জায়গায় একই কথা বলে এসেছি যে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি।" পাশাপাশি নিহত তরুণী ডাক্তারের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে মহাগুরুর মন্তব্য, "ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল, আর যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় কাম্য।"
[আরও পড়ুন: RG Kar: ‘আপনাদের জন্যই…’, প্রতিবাদী মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক, পুলিশদের বাহবা সুদীপ্তার]
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে কর্তব্যরত ছিলেন ওই তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সকালে হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের সিট সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। ১২ আগস্ট এই ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীরা সকলেই পুলিশের উপর আস্থা না রেখে তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি জানান। পরদিন মামলার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। আপাতত ধৃত সঞ্জয়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়া দফায় দফায় আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তদন্তভার নেওয়ার চারদিন পরেও যদিও সিবিআই এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।