রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেডে থাকছেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakrabarty)। শনিবার তাঁর উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। মিঠুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এর পরই প্রশ্ন উঠছে, ‘মহাগুরু’ কি তবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? তবে অক্ষয় কুমার কিংবা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ব্রিগেডে থাকছেন কি না, তা নিশ্চিত করেননি তিনি।
রাত পোহালেই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হাই ভোল্টেজ জনসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। সেই সভা নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতাদের তৎপরতা তুঙ্গে। ব্রিগেডে যোগ দিতে হাওড়া, শিয়ালদহ ও দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলি থেকে বিরাট মিছিল আসবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে নেতা-কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় এসে গিয়েছেন। তাঁদের জন্য একাধিক ধর্মশালা, হোটেল বুক করা হয়েছে। কলকাতা ও শহরতলির সমর্থকদের আনতে ২৫-৩০ হাজার বাস বুক করা হয়েছে। বুক করা হয়েছে ততোধিক গাড়িও।
[আরও পড়ুন : পাখির চোখ ভবানীপুর! মমতার ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রে জনসংযোগ কৈলাসের]
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেডে থাকছে একাধিক চমক। যদিও ব্রিগেডে অক্ষয় কুমার, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা থাকছেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও তারকাদের উপস্থিতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়, ব্রিগেডের তারকা একজনই, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তারকাদের জন্য আবাদা একটি মঞ্চ থাকছে ব্রিগেডে। আলাদা মঞ্চ হচ্ছে নেতা-মন্ত্রীদের জন্যও। সূত্রের খবর, ব্রিগেডে থাকছেন ৩০ জন কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া মূলমঞ্চ তো আলাদা ভাবে তৈরি হচ্ছেই।
নিরাপত্তার জন্য রবিবার সকাল থেকেই তিন হাজার পুলিশ নামছে কলকাতার রাস্তায়। তার মধে্য দু’হাজার পুলিশ থাকছে ব্রিগেডের ময়দানে। বাকি এক হাজার পুলিশ রাস্তা ও আশপাশে থাকছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী রেসকোর্স থেকে ব্রিগেডে গাড়িতে এসে পৌঁছবেন, তাই পুরো রাস্তায় থাকছে অতিরিক্ত পুলিশি ব্যবস্থা। লালবাজারের খবর অনুযায়ী, মঞ্চের সামনেই থাকছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। ময়দানে থাকছে আরও দু’টি বলয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ব্রিগেডের চারপাশ ঘিরেও থাকছে পুলিশ। এ ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ জনতার মধে্য মিশে নজরদারি রাখবে। মঞ্চের আশপাশের এলাকা ৬টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক সেক্টরের দ্বায়িত্বে থাকছেন একজন করে ডেপুটি কমিশনার। এছাড়াও থাকছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকরা। ব্রিগেডের মাঠ ও রাস্তায় থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশকর্তারা। বিশেষ পুলিশ কমিশনার দেবাশিস রায়ের নির্দেশমতো নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনবেন তাঁরা। ময়দান ও হেস্টিংস এলাকায় থাকছে একাধিক পুলিশ পিকেট।
ইতিমধ্যে ব্রিগেডে ‘চলো স্লোগান’ ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কলকাতা। ব্রিগেডের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে বিশাল পুলিশবাহিনী। ড্রোন দিয়ে চলবে নজরদারি। রাজনৈতিক উত্তেজনা, জন সমাগম এবং নিরাপত্তার নিরিখে মোদির ব্রিগেড ‘ঐতিহাসিক’ চলেছে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
[আরও পড়ুন : বিধান পরিষদ কতটা আইনসঙ্গত? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় প্রশ্ন শমীক ভট্টাচার্যের, কটাক্ষ বাবুলের]
দেখুন ভিডিও: