সংবাদ প্রাতিদদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশের পরই তালা পড়েছে অসমের মিঞা মিউজিয়ামে। এবার ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হল তিনজনকে। অভিযোগ, ধৃতদের দৌলতেই গোয়ালপারায় ‘অবৈধ’ ভাবে ওই মিউজিয়ামটি তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় আল কায়দা যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ।
গত সপ্তাহে অসমের গোয়ালপাড়া জেলার দাপকারভিটা এলাকায় উদ্বোধন করা হয় মিঞা মিউজিয়ামের। কিন্তু মঙ্গলবার সেই মিউজিয়ামে তালা ঝুলিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। অভিযোগ, মিউজিয়ামটি গড়ে উঠেছিল যে বাড়িতে, সেটি প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার অনুদানে তৈরি। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, মিউজিয়ামটি অর্থহীন। সেখানে যা কিছু রয়েছে সবই অসমিয়া জনজাতির পোশাক। “লুঙ্গি ছাড়া ওদের (মিঞাদের) কিছু নেই।” মিউজিয়াম গড়তে টাকা কোথা থেকে এসেছে তা জানতে তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। তারপরই নলবাড়ি জেলার থানায় দায়ের হওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন– অল অসম মিঞা পরিষদের সভাপতি মোহর আলি, সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাতেন শেখ ও তনু ধাধুমিঞা। বলে রাখা ভাল, ধৃত মোহর আলির বাড়িতেই তৈরি হয়েছে মিউজিয়ামটি।
[আরও পড়ুন: আলকায়দা যোগের অভিযোগ, অসমে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মাদ্রাসা]
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা ও বাংলাদেশের আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে ধৃতদের যোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অসম (Assam) পুলিশের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর জেনারেল জি পি সিং টুইটারের মঅধ্যমে জানিয়েছেন, তিন ধৃতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১, ১২১(এ), ১২২ এবং ইউএপিএ-র 10/13 ধরায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জঙ্গিযোগের অভিযোগে অসমে তিনটি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন।
এদিকে, অল অসম মিঞা পরিষদের উপদেষ্টা গিয়াসউদ্দিন হাজারিকার দাবি, প্রশাসন কেন মিউজিয়ামটিকে সিল করেছে তা স্পষ্ট নয়। তিনি আরও জানান, মিউজিয়াম শুরু করার আগে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিষয়টি জানানোর কথাও পরিষদকে বলেছিলেন তিনি। তবে পরিষদ কি আদৌ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিল কি না, সেই বিষয়ে কিছু বলেননি হাজারিকা।