সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। সাধারণতন্ত্র দিবস বয়কট করলেন মিজোরামের অধিকাংশ জনগণ। যার জেরে সরকারি অনুষ্ঠানে ফাঁকা মাঠে বক্তৃতা দিতে হল রাজ্যপাল কুম্মানম রাজশেখরনকে। ৭০তম সাধারণতন্ত্র দিবস পালনের জন্য আইজলে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । কিন্তু নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে এই অনুষ্ঠান বয়কট করে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এই বয়কটের ডাকে ব্যাপক সাড়া মিলল। রাজ্যপালের অনুষ্ঠানে কার্যত কোনও সাধারণ নাগরিকই হাজির হলেন না।
[১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় হিমাঙ্কের নিচে ভারতীয় জওয়ানদের এই কীর্তি আপনাকে গর্বিত করবে]
সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড দেখতে নাগরিকদের কেউই আসেননি। পুলিশ জানিয়েছে, শুধু মন্ত্রী, এবং সরকারি আমলারাই হাজির ছিলেন অনুষ্ঠান মঞ্চে। অন্য বছরগুলিতে সাধারণত ৩০টি দল কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। কিন্তু এবার অশান্তির সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে সেই সংখ্যাটি কমিয়ে করা হয় মাত্র ৬। জেলা, মহকুমা ও ব্লকস্তরের অনুষ্ঠানে ছোটখাটো আধিকারিকরাই পতাকা তুলেছেন। সিনিয়র অফিসার ও নাগরিক কেউই ছিলেন না। অনুষ্ঠানস্থলগুলির কাছে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হলেও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। রাজ্যপাল বলেন, মিজোদের পরিচিতি অক্ষুণ্ণ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকার উন্নয়নে সরকার একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, রাজ্যপালের বক্তব্য শোনার জন্য তেমন কেউই ছিলেন না।
[মোদির ক্যাবিনেটে সেরা মন্ত্রী রাজনাথ, দুই নম্বরে সুষমা]
আসলে, সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার পরই অসম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের সবকটি রাজ্যেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মিজোরাম এবং অসমে বিক্ষোভের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কার্যত জ্বলছে অসম-সহ উত্তরপূর্ব। এমনকী মিজোরামে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারতের সঙ্গ ছাড়ারও দাবি তুলেছেন। গত বুধবার আইজলের রাস্তায় ভারত-বিরোধী ব্যানার নিয়ে কয়েক হাজার নাগরিক বিক্ষোভ দেখায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের পদত্যাগেরও দাবি ওঠে। তারপরই সাধারণতন্ত্র দিবসে এই অভিনব বিক্ষোভ। মিজোরামের এই পরিস্থিতি শান্তিকামী ভারতীয়দের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।