সুমন করাতি, হুগলি: সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মচারীকে চরম হেনস্তা তিন মদ্যপ যুবকের। নজরে পড়েই অভিযুক্তকে রীতিমতো কান ধরে ওঠবোস করালেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ঘটনার ভিডিও। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
পোলবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির পোলবা থেকে রাজহাট হয়ে নিউ কাজিডাঙ্গা মোড় হয়ে ফেরার সময় তিন মদ্যপ যুবক তাঁকে চরম হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তাঁর বাইকের চাবি জোরপূর্বক খুলে নেয় বলে অভিযোগ। ওই সময়ই বিধানসভা থেকে ফিরছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নজরে পড়ে বিষয়টা। তৎক্ষণাৎ বিধায়ক গাড়ি থেকে নামেন। স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে বিষয়টা জানতে চান। এর পরই ওই যুবকদের আচরণে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেন। অভিযুক্তদের কান ধরে ওঠবোস করান তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে পা দিয়েই আত্মঘাতী হচ্ছে বাঙালি! সমীক্ষায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এ বিষয় নিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি পোলবা থেকে ফেরার সময় নিউ কাজিডাঙ্গা মোড়ে হেনস্থার শিকার হই। বিধায়ক অসিত মজুমদারকে বিশেষ ধন্যবাদ। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র চুঁচুড়ার মতো বিধায়ক যেন থাকেন। তিনি যেভাবে ত্রাতা হিসেবে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ।”
এ বিষয় নিয়ে অসিত মজুমদার বলেন, “একজন সরকারি কর্মীকে যেভাবে হেনস্তা করছিল ওই যুবকেরা তাতে আমি বাধ্য হয়েছি কান ধরে ওঠবোস করাতে।” যদিও বিধায়কের এই আচরণকে ভালোভাবে নেয়নি বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতার কথায়, “এটা নক্কারজনক ঘটনা। বিধায়ক এভাবে আইন নিজে হাতে নিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসন আছে।” প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে রাতেই ব্যান্ডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। একজনকে আটক করেছে পুলিশ।