অর্ণব দাস, কামারহাটি: দু’দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা কলকাতা। তথৈবচ অবস্থায় শহরতলির। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি ধরলেও নামেনি জল। বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা। একই পরিস্থিতি কামারহাটি (Kamarhati) চত্বরেও। এদিন বেলায় এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (MLA Madan Mitra)। সঙ্গে ছিল কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।
রবিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে। যার জেরে জলের তলায় রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। কামারহাটি পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডও সম্পূর্ণ জলমগ্ন। এদিন বিকেলে সেই জলমগ্ন অবস্থা ঘুরে দেখলেন মদন মিত্র। কালো টিশার্ট, কালো প্যান্টের সঙ্গে চোখে ছিল তাঁর রোদচশমা। জলে নেমে হেঁটে ঘোরেন গোটা এলাকা। বসতি এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের খোঁজ নেন তিনি। বুঝিয়ে দেন কামারহাটি এলাকার অভিভাবক তিনিই।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! জমা জলে ছিঁড়ে পড়ল তার, টিটাগড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ছাত্রের]
এদিন এলাকার মানুষ বিধায়ককে সামনে পেয়ে তাঁদের জল যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন। জানান কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। তুলে ধরেন তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কথা।
কামারহাটির জলযন্ত্রণা নিয়ে মদন মিত্র বলেন, “দীর্ঘদিনের সমস্যা এটা। আমি একদিনে সমস্যা মেটাতে পারব না। মানুষ বুঝতে পেরেছে এই সমস্যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কিছু করার নেই। পুর কর্তৃপক্ষেরও কিছু করার নেই।” সমস্যা সমাধানের উপায়ও বাতলে দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে বড় ধাক্কা জঙ্গিপুরের কংগ্রেস শিবিরে, TMC-তে যোগ দিচ্ছেন প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক]
মদন মিত্রের কথায়, “সমস্যা মেটাতে হলে ড্রেজিং করতে হবে। উঁচু করতে হবে রাস্তাও। আর এই কাজ করতে হলে টানা তিনমাস রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে। এটা করলে এলাকার মানুষের রুটিরুজি বন্ধ হয়ে যাবে।” তিনি আরও জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। তিনি বারাকপুরের সমস্যা সমাধানের জন্য দু’শো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।”
দেখুন ভিডিও:
অন্যদিকে চণ্ডীপুরের ভগবানপুরে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী।ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সাহায্যও করলেন তিনি।
দেখুন ভিডিও: