সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তির আগেই বিপাকে আলিয়া ভাটের ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ (Gangubai Kathiawadi)। ছবিতে কামাথিপুরাকে যৌনপল্লি হিসেবে ব্যাখ্যা করায় ক্ষুব্ধ মহারাষ্ট্রের বিধায়ক। প্রতিকার চেয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
হুসেন জায়েদির লেখা ‘মাফিয়া ক্যুইনস অফ মুম্বই’ বইয়ের উপর ভিত্তি করে ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ তৈরি করেছেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। এই শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। তার আগেই বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মহারাষ্ট্রর বিধায়ক আমিন প্যাটেল (MLA Amin Patel)। তাঁর অভিযোগ, ছবিতে কামাথিপুরা এলাকার সম্পর্কে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। কামাথিপুরা মানেই কিন্তু যৌনপল্লি নয়। এখানকার মহিলারা নিজেদের ক্ষমতায় সসম্মানে বাঁচছেন।
[আরও পড়ুন: শীঘ্রই শিয়ালদহ থেকে ফুলবাগান রুটে মিলবে মেট্রো পরিষেবা, গুণতে হবে বাড়তি ভাড়া]
বিধায়কের দাবি, কামাথিপুরা নামের ব্যবহার ছবিতে করা যাবে না। তার বদলে কোনও কাল্পনিক নাম ব্যবহার করা যেতে পারে বা নামের অংশটি মিউট করে দেওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গাঙ্গুবাঈয়ের জীবনকাহিনি নিয়ে সিনেমা তৈরি করার কথা প্রথমে প্রকাশ্যে আসে। প্রথমে সিনেমার নাম ঠিক হয়েছিল ‘হীরা মাণ্ডি’। তাতে অভিনয় করার কথা ছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার (Priyanka Chopra)। পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। ছবির নাম পালটে রাখা হয় ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’। আর মুখ্য চরিত্রে বেছে নেওয়া হয় আলিয়া ভাটকে।
এর আগেও বনশালির এই ছবিকে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বম্বে সিভিল কোর্টে ছবির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল গাঙ্গুবাঈয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে। গাঙ্গুবাঈয়ের চরিত্রকে বিকৃত করে দেখানো হয়েছে কিনা, সেই জবাব জানতে চাওয়া হয়েছিল। এর আগে শোনা গিয়েছিল, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র চিত্রনাট্য নিয়ে অসন্তুষ্ট হুসেন জায়েদিও। বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি এম এস কার্নিকের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের অভিযোগ জানিয়েছেন আমিন প্যাটেল। ছবির মুক্তি আসন্ন হওয়ার কারণে দ্রুত শুনানির আরজি জানিয়েছেন বিধায়ক। এদিকে চারটি দৃশ্য বাদ দেওয়ার শর্তে নাকি মুক্তির আগে UA সার্টিফিকেট পেয়েছে ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’।