সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বলছে বিজেপি শাসিত মণিপুর (Manipur)। কয়েক ঘণ্টা পরেই শুরু হওয়ার কথা ছিল মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের (N Biren Singh) অনুষ্ঠান। তার আগেই ভাঙচুর চালানো হল সেই অনুষ্ঠানস্থল। রাজধানী ইম্ফল থেকে ৬৩ কিলোমিটার দূরে রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানস্থলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার চূড়াচাঁদপুর জেলায় একটি জিমের উদ্বোধন করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে জিমের সঙ্গে খেলাধূলা পরিষেবা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু,সেটি উদ্বোধনের আগে বৃহস্পতিবার রাতে একদল দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায় সেখানে। গোটা ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ফুটেছে ধরা পড়েছে। এই হামলার জেরে গোটা চূড়াচাঁদপুর জেলাজুড়ে অশান্তির পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: ‘হুজুর, ওটা ফলস কেস! এবার CBI মামলায় আমায় জামিন দিয়ে দিন’, কাতর আরজি অনুব্রতর]
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অশান্তির আবহে জেলাজুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। জেলাজুড়ে চলছে পুলিশি টহলদারি। গোটা চূড়াচাঁদপুর জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। চূড়াচাঁদপুর পেরিয়ে হিংসার আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে পাশের জেলাগুলিতেও।
[আরও পড়ুন: ‘অস্বাভাবিক আচরণ, কোনও সম্পর্ক নেই’, সুকন্যার গ্রেপ্তারিতেও উদাসীন অনুব্রতর দাদা]
কিন্তু কেন এই অশান্তি? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় একাধিক আদিবাসী সংগঠন। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অসহযোগ আন্দোলন করছে আদিবাসী সংগঠনগুলি। আসলে মণিপুরের বিজেপি সরকার স্থানীয় বনাঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা চালাচ্ছে। আদিবাসীদের আশঙ্কা, সরকার এবার বনভুমি ধ্বংস করতে চলেছে। অশান্তির মূল কারণ অবশ্য অন্য। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে সেরাজ্যে অন্তত তিনটি গির্জা ভেঙেছে প্রশাসন। সরকারের দাবি, ওই গির্জাগুলি ছিল বেআইনি। সরকারের এই পদক্ষেপে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আদিবাসী খ্রিস্টানরা। সেকারণেই তৈরি হয়েছে দাঙ্গা পরিস্থিতি।