সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’। এর মধ্যেই বিপত্তি। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ধারাবাহিকের পরিচালক সুমন দাসের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করে এই অভিযোগ জানিয়েছেন মডেল পূজা কুলে (Puja Kulay)। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পরিচালককে একহাত নিয়েছেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন পূজা। তাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর ফেসবুক লাইভে অভিনেত্রী জানান, ২০১৭ সালে তাঁকে অডিশনের জন্য ডেকেছিলেন পরিচালক সুমন দাস। প্রথমে সাউথ সিটিতে দেখা করার কথা হয়েছিল। পরে মডেলের আসতে দেরি হওয়ায় তাঁকে গল্ফ গ্রিনের ফ্ল্যাটে ডাকেন পরিচালক। অডিশন পর্ব হয়ে যাওয়ার পর মডেল যখন বাড়ি যাওয়ার কথা বলেন তখনই পরিচালক তাঁকে থেকে যাওয়ার কথা বলেন। মডেল তাতে রাজি না হওয়াতেই শুরু হয় অত্যাচার।
[আরও পড়ুন: উরফির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন চেতন! ভাইরাল WhatsApp চ্যাট ঘিরে চাঞ্চল্য]
পূজার কথায়, “উনি আমায় বলেন তুমি থেকে যাও তোমার লাইফ চেঞ্জ করে দেব। আমি রাজি হইনি। বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ফোন নিয়ে ফেলে দেন। আমি বাঁচাও বলে চিৎকার করি। উনি আমায় চেপে ধরে বিছানায় ফেলে দেন। আমার দুর্ভাগ্য বিল্ডিংয়ের পাশে ফাংশান হচ্ছিল। আমার চিৎকার কারও কাছে পৌঁছাত না। উনি আমার দুহাত, মুখ চেপে ধরেন। নড়তে পারছিলাম না। তখন বাঁচার জন্য বলি আমি যাব না থাকব।”
পুজা জানান, এরপর তিনি কোনওভাবে বাথরুমে যাওয়ার নাম করে ফ্ল্যাটেরই একটি ঘরে নিজেকে বন্দি করে নেন। সারারাত সেখানেই ছিলেন। পরিচালক দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। তাঁকে শাসাতে থাকেন। সকালে সাহস করে মডেল দরজা খোলেন। তখন মনে সাহস সঞ্চয় করে পরিচালককে বলেন, “এখন ফাংশান হচ্ছে না। চেঁচালে সবাই শুনতে পাবে।” তখনই পরিচালকের ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজে। মডেলকে বাথরুমে আটকে পরিচালক দরজা খুলতে যান। বাথরুমের দরজা ফাইবারের হওয়ায় পূজার ধাক্কায় তা খুলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মহিলার কাছে গিয়ে সাহায্য চান তিনি। মহিলা তাঁকে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে সামলান।
পূজা জানান, সেই সময় তিনি যাদবপুর থানায় এফআইআর করেছিলেন। কিন্তু সেখানে যা ব্যবহার করা হয়েছিল বিচারের কোনও আশা ছিল না। তবে সেই ঘটনা এখনও তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়। এমন পরিচালকের উপযুক্ত শাস্তি চান পূজা। তিনি যেন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ না করতে পারেন, এমনই দাবি মডেলের। পূজার সাক্ষাৎকার ফেসবুকে শেয়ার করে অভিনেতা রাহুল লিখেছেন, “এ একজন দাগী আসামি….এখনও কাজ করে চলেছে।”