সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার রাজধানী দিল্লিতে নিজের বাসবভনে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে একগুচ্ছ বিষয়ে আলোচনা হয় মোদি ও হাসিনার মধ্যে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে যোগাযোগ-পরিবহণ, সংস্কৃতি ও দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করার বিষয়েও কথা হয়েছে। তবে, তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে আদৌ কোনও কথা দুই প্রধানের মধ্যে হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রসঙ্গও আলোচনায় উঠেছে কি না, তা নিয়েও কোনও তথ্য দেয়নি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এই বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
[আরও পড়ুন: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে সেনা বনাম ‘ভূমিপুত্র’, ভয়াবহ গুলির লড়াইয়ে নিহত ২]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও আগে হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মোদি। বিশ্লেষকদের মতে, এতেই স্পষ্ট যে এই মুহূর্তে নয়াদিল্লির কাছে ঢাকার গুরুত্ব অপরিসীম। বলে রাখা ভাল, দীর্ঘদিন ধরেই তিস্তার বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। ২০১৫ সালে মোদির ঢাকা সফরের সময়েই জল পাওয়ার ব্যাপারে চরম আশাবাদী ছিল হাসিনা সরকার। কিন্তু শেষ মূহুর্তে তা এগোয়নি। এবার দিল্লিতে হাসিনা-মোদির বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ঢাকার দিক থেকে তিস্তার জল বণ্টনটি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছিলেন বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
[আরও পড়ুন: ‘ওরা বিরোধী নেতাদের মূল্য দেয় না’, G-20 বৈঠকে খাড়কেকে আমন্ত্রণ না করায় তোপ রাহুলের]
বিশ্লেষকদের মতে, এবছরের শেষে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। বিএনপি, জামাতের মতো পাকপন্থী দলগুলি আসরে নেমে পড়েছে। জনতার একাংশের মধ্যে ভারত-বিরোধ ক্রমে বাড়ছে। তাই ‘ভারতপন্থী’ মুজিবকন্যার গদিতেও টান পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তিস্তার জল নিয়ে যেতে পারলে হাসিনা যে অপাতত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন তা বলাইবাহুল্য। আর নয়াদিল্লিও হাসিনাকেই মসনদে চাইছে। কারণ, বিএনপি ক্ষমতায় ফিরল ফের ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়বে। তবে পশ্চিমবঙ্গের আপত্তির মাঝে আদৌ তিস্তার জল কি গড়াবে?