সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিকার চাহিদা বাড়তেই বেড়ে গেল দাম। আর দেড়শ টাকা নয়। এবার প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির থেকে বাড়তি দামে ভ্যাকসিন কিনতে হবে মোদি সরকারকে। যার অর্থ, এবার রাজকোষে টিকার চাপ আরও বাড়বে।
পূর্ব নির্ধারিত দাম অনুযায়ী এত দিন কেন্দ্র কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন (Covaxin) প্রতিষেধকের প্রতিটি টিকা কিনছিল ১৫০ টাকা করে। কিন্তু চাহিদা বাড়ায় সংস্থাগুলিকে অল্প সময়ে বেশি ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য চাপ দিতে হচ্ছে। যার ফলে তারাও টিকার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রকে এখন বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে কোভিশিল্ড (Covishield) ও কোভ্যাকসিন। দাম বাড়ার পর সরকারকে প্রতিটি কোভিশিল্ড ডোজ কিনতে হচ্ছে ২১৫ টাকায়। অর্থাৎ ডোজ পিছু বাড়তি ৬৫ টাকা করে গুণতে হচ্ছে। আবার কোভ্যাক্সিন টিকা সরকারকে কিনতে হচ্ছে ডোজ প্রতি ২২৫ টাকায়। কোভ্যাকসিনের প্রতিটি টিকার জন্য সরকারকে দিতে হবে বাড়তি ৭৫ টাকা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। যদিও টিকার এই বর্ধিত দামেও সন্তুষ্ট না উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি। তাঁদের দাবি, টিকার দাম ডোজপ্রতি অন্তত আড়াইশো টাকা হলে ভাল হত।
[আরও পড়ুন: ইংরাজি-হিন্দিই নয়, মোদির বারাণসীতে স্টেশনের নাম লেখা সংস্কৃত ও উর্দুতেও]
উল্লেখ্য, শুরুতে টিকার দাম তিনরকম ঠিক করা হয়েছিল। একটি দামে কেন্দ্র, একটি দামে রাজ্য এবং একটি দামে বেসরকারি সংস্থা টিকা কিনবে। এমনটাই ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু পরে টিকাকরণ (Vaccination) প্রক্রিয়ায় গতি আনতে রাজ্যগুলিকে টিকা কেনার ফ্যাসাদ থেকে মুক্তি দেয় কেন্দ্র। ঘোষণা করা হয়, কেন্দ্রের তরফেই সব ঠিকা কিনে রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে। যার ফলে রাজ্যগুলির কাছ থেকে যে অতিরিক্ত দাম প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি পাচ্ছিল, সেটা পাওয়া বন্ধ। সম্ভবত সেকারণেই দাম বাড়াতে হল করোনা ভ্যাকসিনের। যা সরকারের উপর চাপ বাড়াবে। যদিও টিকা যেহেতু সাধারণ মানুষকে সরাসরি কিনতে হয় না, তাই সাধারণ মানুষকে সরাসরি এই টাকা দিতে হচ্ছে না।