সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া আইটি নিয়মের আড়ালে কি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে মোদি (Narendra Modi) সরকার? কেন্দ্রের বিজ্ঞপিত আইনে তেমন ইঙ্গিতই রয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারই নতুন আইটি আইনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। আর সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবার থেকে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া সাইট বা অনলাইন সংবাদমাধ্যম সরকার সম্পর্কিত কোনও বিষয়ে ‘ভুয়ো’ বা ‘বিভ্রান্তিকর’ খবর প্রকাশ করতে পারবে না।
নয়া আইটি আইনে (IT Act) বলা হয়েছে, ভুয়ো ও বিভ্রান্তিমূলক খবর চিহ্নিত করতে আলাদা করে একটি কমিটি গড়া হবে। সেই কমিটিই ঠিক করবে কোনও ওয়েবসাইট বা অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ঠিক নাকি ভুয়ো। কেন্দ্রের কমিটি যদি বলে দেয় সরকার সম্পর্কিত কোনও খবর ভুল, তাহলে ওই নির্দিষ্ট খবর সরাতে বাধ্য থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া। কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সাফ বলে দিচ্ছে, সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও ফেক নিউজকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। গুগল বা ফেসবুকের মতো অনলাইন ফার্মগুলি যদি এই ধরনের খবর না সরায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: মোদি জমানায় ভারতের আর্থিক বৈষম্য নিয়ে রিপোর্ট, সিবিআইয়ের নজরে সেই অক্সফ্যাম]
এখানেই শেষ নয়, বেসরকারি যে সব সংস্থা অনলাইন ফ্যাক্ট চেকার হিসাবে কাজ করছে, তাদেরও এবার থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো অনুমতি না দিলে ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটও কাজ করতে পারবে না। কেন্দ্র মনে করছে, ডিজিটাল মিডিয়ার (Digital Media Act) সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হল ‘ফেক নিউজ’ (Fake News)। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ফেক নিউজ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেও মত কেন্দ্রের। সেকারণেই এই নতুন বিজ্ঞপ্তি বলে দাবি।
[আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ কোটির বাজেট পাশ মাত্র ১২ মিনিটে! ‘অকেজো’ সংসদ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ খাড়গের]
যদিও সমালোচকদের দাবি, এই আইটি আইনে ঘুরপথে অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। যা সংবিধানের ১৪ নম্বর এবং ১৯(১)(এ) ধারার বিরোধী। তাছাড়া কেউ অভিযোগ করলে তো সরকারের কাছে কোনও খবর মুছে দেওয়া, ব্লক করে দেওয়া বা ক্ষমা চাওয়ানোর রাস্তা আছেই। তারপরও নয়া আইনের যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই।