সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তেও বিমান মারফত সুদৃঢ় যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তিন দশকেরও পুরনো পরিকল্পনাকে পুনরুজ্জীবিত করতে উদ্যোগী হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ১৪টি আসনের যাত্রীবাহী ছোট দেশীয় জেট বিমান বানাতে চায় নয়াদিল্লি। আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারত এরকম ১৫টি বিমান তৈরিতে করে ফেলবে।
(রাফালে যুদ্ধবিমানে উড়ান ভরলেন অনিল আম্বানি)
দক্ষিণ এশিয়ার যে গুটিকয়েক দেশের কাছে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই ধরনের ছোট জেট বিমান রয়েছে, সেই তালিকায় ঢুকে পড়তে চায় ভারতও। ন্যাশনাল এরোস্পেস ল্যাবের কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক রিসার্চ অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিসার্চের ডিরেক্টর জিতেন্দ্র যাদব বুধবার বেঙ্গালুরুতে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু করার চূড়ান্ত পর্যায়ের কথা চলছে। নতুন এই বিমানটির নাম হবে ‘সারস’। ২০০৯ সালেও একবার এই ধরনের পরীক্ষামূলক উড়ান ভরেছিল। কিন্তু সেই স্মৃতি বিশেষ সুখের নয়। টুইন টার্বো প্রপ বিমানটি সেবার তিনজন ক্রু মেম্বার-সহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। বিমানে উপস্থিত প্রত্যেকেই মারা যান।
আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যে ভারতের এরকম কয়েকশো ছোট বিমানের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চান, দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তকেও যাতে বিমানের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া সম্ভব হয়। ভারতীয় বায়ুসেনা এই ‘সারস’ বিমান পরীক্ষা করে দেখবে। এই বিমান পরিষেবা পুরোপুরি চালু হতে আরও ৩ মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র যাদব। গোটা বিশ্বেই এই মুহূর্তে নতুন বিমানের উৎপাদন প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। এমনকী, বোয়িং, মিৎসুবিশির মতো সংস্থাও নতুন বিমান সরবরাহে দেরি করেই চলেছে। জাপানকে এই ধরনের ছোট যাত্রীবাহী বিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিতে গতমাসেও পঞ্চমবারের জন্য তারিখ পিছিয়েছে দুই সংস্থাই। অ্যাডভান্সড এআরজে২১ জেট ফের বাজারে আনতে চিনের সময় লেগেছে ১৩ বছর। ভারতও ‘সারস’ তৈরি করতে চেয়েছিল ৩৯ বছর আগে। কিন্তু সেবার নানা কারণে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এবার ছোট যাত্রীবাহী জেট বাজারে নিয়ে আসতে নতুন করে কোমর বেধেছে কেন্দ্র।
(ভারতের ক্ষেত্রে শাপে বরই হবেন ট্রাম্প, অভিমত মুকেশ আম্বানির)
The post ফের ১৪ আসনের যাত্রীবাহী জেট বানাতে উদ্যোগী মোদি সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.