সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) মানেই ম্যাজিক। আর অমিত শাহ (Amit Shah) মানেই জাদু শক্তিতে অসম্ভবকে সম্ভব করা। বিজেপির এই ‘মিথ’ এবার হয়তো ভাঙতে চলেছে। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মোদি বা শাহ কারও ম্যাজিকই কাজ করছে না। এমনকী, যে বিধানসভা আসনগুলিতে তাঁরা নিজে গিয়ে প্রচার করছেন, সেই কেন্দ্রগুলিও বাঁচাতে পারছে না বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের ফলাফল অন্তত তাই বলছে। ঝাড়খণ্ডে যে যে আসনগুলিতে মোদি-শাহ প্রচার করেছেন, তার বেশিরভাগই হেরেছে বিজেপি।
হিসেব বলছে, ঝাড়খণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ মিলিয়ে মোট ২০টি জনসভা করেছেন। তাঁদের জনসভাগুলি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাতে রাজ্যের অন্তত ৬০টি বিধানসভা আসনের উপর তার প্রভাব পড়ে। বলা বাহুল্য এই ৬০ আসনের মধ্যে অধিকাংশই হারতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। অমিত শাহ বা নরেন্দ্র মোদির কারও ম্যাজিকই কাজ করেনি। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের দাবি যে ২০টি আসনে মোদি-শাহ জনসভা করেছেন, সেই ২০ আসনের মধ্যে ১৪টিই হেরেছে বিজেপি। অর্থাৎ, শশরীরে উপস্থিত থেকেও বিজেপিকে জেতাতে পারেননি দলের দুই মহারথী।
[আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন বা এনআরসি নয়! ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হারের কারণ স্থানীয় ইস্যু আর অন্তর্দ্বন্দ্ব ]
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মোদি-শাহ ম্যাজিক কাজ না করার নিদর্শন অবশ্য নতুন কিছু নয়। গতবছর থেকেই এই ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। গতবছর মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে আসনগুলিতে জনসভা করেন, তার মাত্র ৪৯ শতাংশ জেতে বিজেপি। রাজস্থানে জেতে মাত্র ২৮ শতাংশ এবং ছত্তিশগড়ে মাত্র ১৮ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে স্ট্রাইক রেট কিছুটা বাড়লেও, হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ডে সেই তলানিতে মোদি-শাহর স্ট্রাইক রেট। এমনকী, যে এলাকাতে শশরীরে উপস্থিত থাকছেন না, সেই এলাকাগুলিতেও তাঁরা জেতাতে পারছেন না। তাই আগামী বছর বিহার এবং দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আগে হয়তো বিজেপিকে নিজেদের স্ট্র্যাটেজিতে কিছুটা হলেও পরিবর্তন করতে হবে। শুধু মোদি-শাহ ম্যাজিকে ভরসা না রেখে, তুলে আনতে হবে স্থানীয় নেতাদের।
The post ফিকে হচ্ছে ম্যাজিক! মোদি-শাহর প্রচার করা বেশিরভাগ আসনেই হেরেছে বিজেপি appeared first on Sangbad Pratidin.